প্রতীকী ছবি।
হাওড়া থেকে তাকে মুম্বই নিয়ে যাওয়ার পথে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের প্রহরাকে তুড়ি মেরে সে ট্রেন থেকে পালিয়ে যায়। তিন বছর পর, মঙ্গলবার লখনউয়ে ধরা পড়েছে লস্কর-ই-তইবার সদস্য সেই জঙ্গি। পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ পুলিশ পাহারায় থাকা সত্ত্বেও শেখ আবদুল নইম ছত্তীসগঢ়ের রায়গড় স্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেন থেকে পালাল কী ভাবে, তা এ বার খতিয়ে দেখবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।
ট্রেনে নইমের পাহারায় থাকা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একাংশের সঙ্গে যোগসাজসেই ওই জঙ্গি পালায় বলে এক বছর আগে জানায় মুম্বই হাইকোর্ট গঠিত সিট (স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম), যার মাথায় ছিলেন সিবিআইয়ের ছত্তীসগঢ়ের যুগ্ম অধিকর্তা। কলকাতা থেকে মুম্বইয়ের আদালতে হাজির করাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল নইমকে। সিট-এর রিপোর্ট মুম্বই হাইকোর্টে যিনি পেশ করেন, সেই আইনজীবী হিতেন ভেনেগাওঙ্কর বুধবার ফোনে আনন্দবাজারকে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কয়েক জনের যোগসাজসে নইম ট্রেন থেকে পালায়, এমন প্রমাণ সিট-এর তদন্তে মিলেছে।’’ মুম্বই মেল থেকে নইম পালিয়েছিল ২০১৪-র ২৫ অগস্ট ভোরে। গত বছর ডিসেম্বরে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ওই পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়।
বুধবার এনআইএ-র এক কর্তা দিল্লি থেকে ফোনে বলেন, ‘‘এই তিন বছর নইম কোন কোন জায়গায় ছিল, কারা ওকে আশ্রয় দিয়েছিল, পুলিশি প্রহরা সত্ত্বেও চলন্ত ট্রেন থেকে সে পালালো কী ভাবে, এ সবই আমাদের তদন্তের আওতায়।’’
এনআইএ-র দাবি, নইম দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও হিমাচলপ্রদেশের কিছু পর্যটনকেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। পাকিস্তানে থাকা লস্কর কমান্ডার আমজাদের সহযোগী নইম ভারতে জঙ্গি ঘাঁটি তৈরির জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহির লস্কর সদস্যদের থেকে অর্থ পেত।
২০০৬-এর ঔরঙ্গাবাদ অস্ত্র উদ্ধার মামলার অভিযুক্ত হিসেবে মুম্বইয়ের আদালতে হাজির করাতে তিন বছর আগে নইমকে কলকাতা থেকে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তার আগে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা নইম ছিল দমদম সেন্ট্রাল জেলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy