দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি। —নিজস্ব চিত্র।
তীর্থযাত্রী বোঝাই বাস উল্টে মৃত্যু হল এক মহিলার। আহত হয়েছেন ২০ জন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ভোর ৪টে ১৫ মিনিটে গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার কালীবাজারে। মৃতের নাম সুগিয়া দেবী (৪৫)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাণ্ডুয়ার বাসিন্দা। এই দুর্ঘটনার ফলে বেশ কিছু ক্ষণ গঙ্গাসাগর-কচুবেড়িয়া রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ ছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাসটি গঙ্গাসাগর-কচুবেড়িয়া রুটের। ৩৫ থেকে ৪০ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি গঙ্গাসাগর যাচ্ছিল। তীব্র গতিতে থাকায় রুদ্রনগরের কালীবাজারের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি উল্টে যায়। উল্টে পাশে জলাজমিতে পড়ে যায়।
খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তার আগেই অবশ্য স্থানীয়েরা উদ্ধারকার্যে হাত লাগান। বাসের ভিতর থেকে এক এক করে তীর্থযাত্রীদের বার করে আনেন তাঁরা। আহতদের রুদ্রনগরের সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। চিকিৎসার জন্য তাঁদের কলকাতায় আনা হয়েছে। খোঁজ মিলছে না এক শিশুর। ডুবুরি নামিয়ে তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
শঙ্কর মণ্ডল নামে এক উদ্ধারকারী বলেন, ‘‘আমি শব্দ শুনে বাইরে বেরিয়ে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পড়ে কয়েকজন কাতরাচ্ছেন। বাসের চালকের খোঁজ মেলেনি। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় বলেই মনে হয়।’’
আরও পড়ুন: ‘সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর এক বার’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন জেলা প্রশাসনেকর কর্তারা। সরকারি সাহায্যে দেহ ঝাড়খণ্ডে পাঠানো হবে বলে জানান জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। তিনি বলেন, ‘‘ওই বৃদ্ধার মৃত্যুর শংসাপত্র পেলেই পুণ্যার্থীর বিমার টাকা পরিবারকে দিয়ে দেওয়া হবে।’’
দুপুরে অন্য দুর্ঘটনাটি ঘটে রুদ্রনগর এলাকার কাছে। রেয়ারেষি করতে গিয়ে পুণ্যার্থী বোঝাই একটি বাস নয়ানজুলিতে নেমে যায়। আহত হন অন্তত ১১ জন। সকলকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। যাত্রীদের বেশিরভাগই নদিয়ার বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy