Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ডেঙ্গিতে প্রশাসনের দায়িত্ব আছে: মমতা

নবান্নের নির্দেশ আছে, বছরের গোড়া থেকেই ডেঙ্গি দমনে সক্রিয় হতে হবে। কিন্তু ফেব্রুয়ারি শেষ হয়ে গেল, রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা, পঞ্চায়েত কিংবা স্বাস্থ্য দফতরকে এখনও তেমন সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় ডেঙ্গি নিয়ে ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৫:০৮
Share: Save:

নবান্নের নির্দেশ আছে, বছরের গোড়া থেকেই ডেঙ্গি দমনে সক্রিয় হতে হবে। কিন্তু ফেব্রুয়ারি শেষ হয়ে গেল, রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা, পঞ্চায়েত কিংবা স্বাস্থ্য দফতরকে এখনও তেমন সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় ডেঙ্গি নিয়ে ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় যে-রোগটা গত বছর ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল, সেটা যে ডেঙ্গিই, রাজ্য সরকার তা মানতে চায়নি। কাগজে-কলমে ‘জ্বর’ বলেই তাকে ঢেকে-চেপে রাখা হয়েছে। দিল্লিকে নিয়মিত ডেঙ্গি-রিপোর্ট পাঠানো এক সময়ে বন্ধ করে দিয়েছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার বারাসতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ডেঙ্গি কথাটি উচ্চারণ না-করেই মন্তব্য করেন, ‘‘উত্তর ২৪ পরগনা থেকেই গত বার (জ্বর) ছড়িয়েছিল। ছড়িয়েছিল গ্রামীণ এলাকা থেকে।’’

পঞ্চায়েতগুলি যে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেনি, সেই ব্যাপারে সম্প্রতি একটি জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মঞ্চে বসা পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যাকে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘যে-সব পঞ্চায়েত আমাদের (তৃণমূলের) নয়, সেখানে ব্লিচিং পাউডারের বদলে ছড়ানো হয়েছিল আটা। তা কাক খেয়েছিল। এটা খারাপ উদাহরণ। এটা অপরাধ।’’

‘‘গরমে ডায়েরিয়ার সমস্যা হয়, বর্ষায় ডেঙ্গি হয়। এটা নিরবচ্ছিন্ন প্রবণতা। প্রশাসনের দায়িত্ব আছে। পুরসভাগুলিকেও আরও উদ্যোগী হতে হবে,’’ বলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বছর ডেঙ্গি ও অজানা জ্বর সংক্রমণের দায় রাজ্যের বাইরে থেকে আসা মানুষজনের উপরে চাপিয়ে দিয়েছিলেন মমতা। এ দিনও সেই বিষয়টির উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এখন তো মুক্ত জগৎ। মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে যাতায়াত করেন। কে কী রোগ নিয়ে আসেন, বোঝা যায় না। এই এলাকাটা তো আবার বাংলাদেশের লাগোয়া।’’

আরও পড়ুন: মমতার সুরক্ষায় ফাঁক, বদলি শুরু

জেলার বিভিন্ন পুরসভাকে ডেঙ্গি দমনে এখনও তেড়েফুঁড়ে নামতে দেখেননি এলাকার মানুষ। তবে জেলাশাসক অন্তরা আচার্য প্রশাসনিক বৈঠকে দাবি করেন, জেলা-ভিত্তিক নজরদার দল গড়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন। লাইসেন্স নেই, এমন ৩২টি ল্যাবরেটরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, যে-পঞ্চায়েত আটা ছড়িয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, সেটি সিপিএমের দখলে থাকলেও কিছু দিনের মধ্যে গোটা পঞ্চায়েতই তৃণমূলের দখলে চলে এসেছে। আটা ছড়ানোর অভিযোগের তদন্ত একটা হয়েছিল। তবে কারও বিরুদ্ধে কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE