Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Dengue

জ্বরের চিকিৎসা করেও রক্ষা পেলেন না জব্বার

বৃহস্পতিবার সেখানে মারা যান জব্বার। সেখানেও মৃত্যুর কারণ হিসাবে ‘ডেঙ্গি’র কথা উল্লেখ আছে বলে জানিয়েছেন ভাই মাসুদ লস্কর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:২৭
Share: Save:

ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে গাঁটের কড়ি খরচ করে লিফলেট ছাপিয়ে গ্রামে বিলি করেছেন। জ্বরে আক্রান্ত অনেকের চিকিৎসাও করেছেন।

কিন্তু সপ্তাহখানেক আগে ডাক্তারবাবু নিজেই পড়েন জ্বরে। ডেঙ্গির জীবাণু মেলে রক্তে। শেষমেশ, বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার মারা গিয়েছেন দেগঙ্গার চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের পণ্ডিতপোলের পল্লি চিকিৎসক জব্বার লস্কর (৪৮)। এই নিয়ে বুধ ও বৃহস্পতিবার দেগঙ্গার গ্রামে জ্বরে ভুগে মৃত্যু হল ৩ জনের। বাদুড়িয়ায় মারা গিয়েছেন আরও ৪ জন। সব মিলিয়ে দু’দিনে মৃতের সংখ্যা ৭।

গত বৃহস্পতিবার রাতে জ্বরে আক্রান্ত হন দেগঙ্গার চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের পণ্ডিতপোল গ্রামের পল্লি চিকিৎসক জব্বার লস্কর (৪৮)। শনিবার কলকাতার আইডি হাসপাতালে জব্বারকে ভর্তি করা হয়। পরিবারের দাবি, রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে বলে জানান চিকিৎসকেরা।

সোমবার অবস্থার অবনতি হয়। জব্বারকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে বলেন চিকিৎসক। যদিও বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। বৃহস্পতিবার সেখানে মারা যান জব্বার। সেখানেও মৃত্যুর কারণ হিসাবে ‘ডেঙ্গি’র কথা উল্লেখ আছে বলে জানিয়েছেন ভাই মাসুদ লস্কর।

জব্বারের স্ত্রী নীলিমা বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগেও নিজের টাকা খরচ করে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাগজ ছাপিয়ে গ্রামে বিলি করেছিলেন। আর সেই মানুষটাই কিনা ডেঙ্গিতে মারা গেল।’’

অন্য দিকে, নুরনগর পঞ্চায়েতের দু’টি গ্রামে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে জ্বরে। রামনাথপুর দাসপাড়ার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য নিলুপদ দাসের ভাইয়ের স্ত্রী অনিমা দাস (৩২) সোমবার জ্বরে আক্রান্ত হন। বিশ্বনাথপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করিয়ে জ্বর না কমায় বুধবার বিকেলে কলকাতার আইডিতে ভর্তি করা হয়েছিল। বুধবার রাতে সেখানেই মারা যান অনিমা।

নুরনগর পঞ্চায়েতের সরকারপাড়ার মোটরভ্যান চালক হব্বিবর রহমান (৩০) দিন সাতেক আগে জ্বরে পড়েন। মঙ্গলবার আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যায় হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানেই মারা গিয়েছেন ওই যুবক।

জ্বরে একের পর এক মৃত্যু ঘটে চলেছে বাদুড়িয়াতেও। পূর্ব নাটুরিয়ার মাফুজা বিবি (৫২), শ্রীরামপুরের কামুরা বিবি (৫০), আটঘরার সাকিনা বিবি (৪৪) এবং মান্দ্রার চাঁদপুর গ্রামের নুরজাহান বিশ্বাসও (৪৩) মারা গিয়েছেন জ্বরে। এঁদের মধ্যে দু’জন মারা গিয়েছেন আরজিকরে। একজনের মৃত্যু হয়েছেন কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে। অন্যজনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dengue Malaria Water stagnation Mosquitoes
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE