একটানা বৃষ্টিতে জল জমছে চাষজমিতে। ক্ষতির আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন রাজ্য কৃষি দফতর আগে থেকেই ধানের বীজ মজুত করছে— বীজতলা নষ্ট হয়ে গেলে যাতে নতুন করে চাষে নামা যায়। ইতিমধ্যেই প্রায় ১১০০ টন অতিরিক্ত ধানবীজ বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার নবান্নে এই সংক্রান্ত বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু আশ্বস্ত করেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে ফের চাষ করার জন্য সব রকমের সাহায্য করবে রাজ্য সরকার।
টানা বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। এর মধ্যে বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমির ধানচাষে ক্ষতি হয়েছে বলে নবান্নে রিপোর্ট এসেছে। বর্ধমান ও বীরভূম জেলা রাজ্যে ধান উৎপাদনে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয়। এই দুই জেলায় চাষের ক্ষতি হলে সামগ্রিক ভাবে রাজ্যে ধানের উৎপাদন মার খাবে বলে চিন্তাটা বেশি। তবে, নতুন করে ধান চাষে র জন্য এখনও হাতে দিন পনেরো সময় আছে। বেশি দেরি হলে শতাব্দী, ক্ষিতীশ, রত্না, এমটিইউ-১০১০, এমটিইউ ৪৭৮৬-র মতো স্বল্পকালীন মেয়াদের ধান চাষ করে ক্ষতি এড়ানো যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘‘আবহাওয়ার দিকে নজর রাখা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিয়মিত খবর নিচ্ছেন। স্বল্পকালীন মেয়াদের ধানবীজ সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’
বন্যা হলে বহু জমিতে ধান চাষ করাই যাবে না। সেক্ষেত্রে বন্যার পর কলাই, ভুট্টা, ডাল বিকল্প চাষের বীজ দেওয়া হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy