Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

পাহাড় নিয়ে সরকারের সর্বদলীয় বৈঠকে অধিকাংশ দলই অনুপস্থিত

বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে জানালেন, বৈঠক সফল। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা আশা রাখি ভবিষ্যতে সবাই বৈঠকে যোগ দেবেন। কারণ সবাই শান্তি চান। তবে আজ সবাই এলে ভাল হত।’’ সরকার আলোচনার রাস্তা খোলা রাখছেন বলেই এই দিন বৈঠকে জানালেন তিনি।

শিলিগুড়ির সার্কিট হাউসে চলছে সর্বদল বৈঠক। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

শিলিগুড়ির সার্কিট হাউসে চলছে সর্বদল বৈঠক। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দার্জিলিং শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৭ ১৯:৫৫
Share: Save:

মোর্চা-সহ পাহাড়ের দলগুলো আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী দেশে না থাকায় বৈঠকে সামিল হবে না বলে গতকালই বার্তা দিয়েছিল কংগ্রেস,বাম ও বিজেপি। আজ, বৃহস্পতিবার, শিলিগুড়ির সার্কিট হাউসে সরকারের ডাকা এই সর্বদল বৈঠকে তাই দেখা মিলল গুটিকয়েক রাজনৈতিক দলের। তবে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে জানালেন, বৈঠক সফল। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা আশা রাখি ভবিষ্যতে সবাই বৈঠকে যোগ দেবেন। কারণ সবাই শান্তি চান। তবে আজ সবাই এলে ভাল হত।’’ সরকার আলোচনার রাস্তা খোলা রাখছেন বলেই এই দিন বৈঠকে জানালেন তিনি।

আরও পড়ুন: গুলিতে তিন মোর্চা কর্মীর খুনে গুরুঙ্গদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পুলিশের

তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, এই বৈঠকের মাধ্যমেই একাধিক বার্তা দিতে চাইছে সরকার। শান্তি ও সহিষ্ণুতার মাধ্যমেই পাহাড় সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে জানালেন তৃণমূল মহাসচিব ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের সরকারের অভিমুখ হল যে কোনও ভাবে পাহাড়ে শান্তি ফেরানো। যে ধ্বংসাত্মক কাজ শুরু হয়েছে তার থেকে বিরত থাকা। তাহলেই পাহাড়ে শান্তি ফিরবে।’’ একই কথা বললেন স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে। রাজ্য সরকার শান্তির পথে আলোচনায় যেতে রাজি বলে এ দিন বৈঠকে জানালেন তিনি। তাঁর কথায়, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব। কোথাও কারও যদি বোঝার ভুল হয়ে থাকে সেটা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা যেতে পারে। এরই সঙ্গে যোগ করেন, পাহাড়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দায়িত্ব শুধু প্রশাসনের নয়। পাহাড়বাসীদেরও সমান সহযোগিতা প্রয়োজন বলেই মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘সরকার আলোচনার রাস্তা খোলা রেখেছে। আমরাও খোলা মনে আছি। সবাই আসুন আলোচনা করি।’’

মুখ্যমন্ত্রী দেশে না থাকায় বৈঠকের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল অধিকাংশ বিরোধী দলগুলি। বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া সম্ভব নয় বলেও কথা উঠেছিল। এ দিন অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের অনুপস্থিতি সেই কথাই আরও এক বার স্পষ্ট করে দিল। তৃণমূল ছাড়া বৈঠকে এ দিন হাজির ছিল এনসিপি ও বিএসপি। এ ছাড়া ছিল দু’টি বোর্ডের সদস্যেরা। হাতগোনা প্রতিনিধিদের নিয়ে আজকের এই বৈঠক সফল হল কী না এই নিয়ে কিছু মহলে উঠছে প্রশ্ন। তবে তৃণমূল অন্দরের বক্তব্য সব দল না এলেও, যে বার্তা দেওয়ার জন্য বৈঠক ডাকা হয়েছিল সেই বার্তা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE