Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে পদ ছাড়ুন, নেতাদের হুঁশিয়ারি অমিতের

আড়াই দিনের দলীয় বৈঠকে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলে গিয়েছেন, সাংগঠনিক ভাবে জেলার সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। এখন বিজেপি-র সাংগঠনিক জেলা ৩৫টি। তা বাড়িয়ে লোকসভা কেন্দ্র পিছু একটি করে মোট ৪২টি জেলা তৈরি করতে হবে।

অমিত শাহ।— ফাইল চিত্র।

অমিত শাহ।— ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:৪১
Share: Save:

কলকাতা সফরে এসে বঙ্গ বিজেপি-র নেতাদের সামনে একগুচ্ছ কাজ বেঁধে দিয়ে গেলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এবং কড়া সুরে জানিয়ে দিয়ে গেলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে না পারলে পদ আঁকড়ে থাকা যাবে না। সে তিনি যে পদেই থাকুন না কেন। জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে ফের রাজ্যে এসে এই চার মাসের কাজের খতিয়ান নেবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি।

আড়াই দিনের দলীয় বৈঠকে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলে গিয়েছেন, সাংগঠনিক ভাবে জেলার সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। এখন বিজেপি-র সাংগঠনিক জেলা ৩৫টি। তা বাড়িয়ে লোকসভা কেন্দ্র পিছু একটি করে মোট ৪২টি জেলা তৈরি করতে হবে।

এখনও ৩৭ হাজার বুথে কমিটি গঠন করতে পারেনি দল। নভেম্বরের মধ্যে সেই কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন সভাপতি। তৃণমূল স্তরে নেতৃত্ব তৈরির জন্য ৭০-৮০টি বুথ নিয়ে একটি করে মণ্ডল বা সাংগঠনিক ব্লক তৈরির কাজ চলছে। রাজ্যে যেখানে প্রশাসনিক ব্লক ৩৪১টি, সেখানে বিজেপি-র সাংগঠনিক ব্লক ১১০০ ছাড়িয়েছে। প্রতিটি ব্লক কমিটির পদাধিকারীদের পাঁচ থেকে সাতটি বুথের দায়িত্ব নেওয়ার কথা ছিল। এগুলির নাম দেওয়া হয়েছে ‘শক্তি কেন্দ্র’। কিন্তু তা গঠনের কাজ শেষ না হওয়ায় অমিত ক্ষোভ চেপে রাখেননি। মণ্ডল কমিটির সদস্যদের দু’টি করে বুথের দায়িত্ব ভাগ করে দিতে বলা হয়েছিল। সেই কাজও হয়নি ঠিকমতো।

অমিত বৈঠকে বলেছেন, সাংগঠনিক ভিত তখনই মজবুত হবে, যখন বুথ, শক্তি কেন্দ্র, ক্রমে মণ্ডল, বিধানসভা, লোকসভা এবং লোকসভার পালক— এই ছ’টি স্তর ছ’টি স্তম্ভের মতো কাজ করবে। কিন্তু এ রাজ্যের ক্ষেত্রে যা আশা করা হয়েছিল, তার ধারে-কাছেও যেতে পারেনি রাজ্য বিজেপি। সেই কারণেই ২৯৪টি কেন্দ্রে এক জন করে পূর্ণ সময়ের বিস্তারক এবং লোকসভা পিছু এক জন করে পালকের পাশাপাশি ছ’জন কেন্দ্রীয় পালকও কাজ করবেন। সর্বভারতীয় সভাপতি মনোজ সিংহ, অর্জুন রাম মেঘওয়াল, জগৎপ্রকাশ নাড্ডার মতো কেন্দ্রীয় পালকদের থেকে সরাসরি রিপোর্ট নেবেন। আর দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দায়িত্ব হবে পুরো প্রক্রিয়াটা যাতে নভেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যায়, তা সুনিশ্চিত করা। শুধু তাই নয়, দলের দেওয়া ছ’টি অনুষ্ঠান বুথ ঠিকমতো পালন করতে পারছে কি না, তার রিপোর্ট নেওয়া।

আড়াই দিনের দলীয় বৈঠকে অমিত বারে বারে একটি কথাই বলেছেন— ‘‘আপনারা শুধু সক্রিয় বুথ কমিটি তৈরি করুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানোর বাকি কৌশল আমার জানা আছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE