ফাইল চিত্র।
দার্জিলিঙে শান্তি ফিরুক। বাকি কথা তার পরেই হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই মন্তব্য করেছেন অমিত শাহ। গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে যখন দ্বিধা, তখন দলের সভাপতি এ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেননি। অবশ্য তার আগেই অমিত-ঘনিষ্ঠ নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ফের জানিয়ে দেন, বিজেপি গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে নয়। চার বার প্রকাশ্যে তিনি এ কথা বলেছেন বলে মন্তব্য করেন পশ্চিমবঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক।
আজ রাতে দিল্লিতে অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। তার আগে দলের ‘বিস্তারক যোজনা’ নিয়ে তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন বিজেপির সংগঠনের দায়িত্বে থাকা সাধারণ সম্পাদক রামলাল ও সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশ। সেখানে কৈলাসও উপস্থিত ছিলেন। বিজেপি সূত্রের মতে, অমিত শাহ ক’দিন আগেই বলেছিলেন, গোর্খাল্যান্ড নিয়ে দলের অবস্থান নেওয়া এখনও বাকি। কিন্তু কৈলাস যা বলছেন, সভাপতির সম্মতি ছাড়া সে কথা বলা সম্ভব নয়।
দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া অবশ্য এখনও পর্যন্ত গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে বা বিপক্ষে কিছুই বলেননি। দলের ইস্তাহারে গোর্খাদের প্রত্যাশা বিবেচনা করার যে কথা লেখা হয়েছে, সেটিই বারবার উল্লেখ করেছেন। এ দিন বিকেলে রামলাল দার্জিলিং নিয়ে আলোচনার জন্য ডেকে পাঠান অহলুওয়ালিয়াকে। দার্জিলিঙের সাংসদ সেখানে বলেন, পাহাড়ের সঙ্কট সমাধানের জন্য ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা জরুরি।
দার্জিলিঙের পরিস্থিতি অশান্ত হওয়ার পর থেকে দিলীপ ঘোষ বারবার অবস্থান বদল করেছেন। কখনও বলেছেন, গোর্খাল্যান্ড সমর্থন করছেন না। কখনও বলেছেন, নামে আপত্তি থাকলেও পৃথক রাজ্যে আপত্তি নেই। কখনও আবার ব্যাখ্যা, নাম বা পৃথক রাজ্য, কোনওটিতেই সায় নেই তাঁর। কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আজ স্পষ্ট করে দেন, গোর্খাল্যান্ডে সায় নেই তাঁদের।
কী কারণে এমন অবস্থান?
বিজেপির এক নেতার ব্যাখ্যা, আড়াইটি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে পৃথক রাজ্য হতে পারে না। আর দার্জিলিং সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত। চিনও সেখানে অশান্তির সুযোগে ঢুকতে চাইছে বলে খবর। নেতাটির মতে, গোর্খারা নিজেদের সংস্কৃতি ধরে রাখতে চান, এটা ন্যায্য। উন্নয়ন হলে ভবিষ্যতে তারা হয়ত গোর্খাল্যান্ডের দাবিও তুলবেন না। এ জন্যই অমিত শাহ বলেছিলেন, অবস্থান নেওয়া বাকি। যাতে গোর্খাল্যান্ড না দিয়েই পাহাড়ের প্রত্যাশা জিইয়ে রাখা যায়, সমতলেও বিরূপ বার্তা না যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy