নিগনে অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
নেতাকে গুলি করে খুন করার নেপথ্যে গোষ্ঠীকোন্দলের দিকে আগেই আঙুল তুলেছিলেন মৃতের স্ত্রী। এ বার সেই নেতা সানাউল্লা শেখ ওরফে ডালিমের স্মরণসভায় দাঁড়িয়েই এলাকার পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল দোষীদের শাস্তির দাবি ও দলেরই একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সরব হলেন বলে দাবি তৃণমূল কর্মীদের একাংশেরই।
সোমবার সন্ধ্যায় নিগন বাসস্ট্যান্ডে খুন হন তৃণমূলের শিমুলিয়া ১ অঞ্চল সভাপতি ডালিম। ঘটনার পরেই মৃতের স্ত্রী লাভলি বিবি দাবি করেন, ‘‘ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর সঙ্গে দীর্ঘদিন রাজনীতি করছিলেন স্বামী। তাই বিধায়ক গোষ্ঠীর কয়েক জন ওনাকে সরিয়ে দিল।’’ খুনের অভিযোগ ওঠে বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর ভাই রহমতুল্লা চৌধুরী ও জেলা পরিষদ সদস্য বিকাশ চৌধুরী-সহ ১৫ জনের নামে। যদিও এ যাবৎ রহমতুল্লা ও বিকাশের নাগাল পায়নি পুলিশ। শনিবার মঙ্গলকোটের নিগন মাঠে আয়োজিত সভা থেকে অনুব্রত অবশ্য বলেন, ‘‘দোষী যেই হোক, দলের কেউ হলেও শাস্তি পাবে। এফআইআর-এ যাদের নাম আছে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে।’’ তৃণমূল কর্মীদের ধারণা, এ কথা বলে আসলে দলেরই একটি গোষ্ঠীর দিকে অভিযোগ তুললেন অনুব্রত।
শুধু তাই নয়, অনুব্রত আরও বলেন, ‘‘উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন পায়রার মতো। ধান নষ্ট করছেন, লজ্জা করে না?’ তৃণমূল কর্মীদের ধারণা, ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’র কথা বলে অনুব্রত আসলে নাম না করে বিধায়ককেই কটাক্ষ করেছেন। কারণ, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী মঙ্গলকোটের বিধায়ক হলেও তাঁর বাড়ি কাটোয়ার করজ গ্রামে। যদিও অনুব্রতর মন্তব্যের বিষয়ে বিধায়ককে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এই খুনে রাজনীতি নেই। আইন আইনের পথে চলবে।’’
এ দিন সভায় যোগ দেওয়ার আগে ডালিমের বাড়ি গিয়ে পরিজনদের সঙ্গে দেখা করে প্রয়াত নেতার মেয়েদের পড়াশোনার দায়িত্ব দল নেবে বলে জানান অনুব্রত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy