শহরের রাস্তায় আনন্দের স্নান।—ফাইল চিত্র।
বহু দিন পর রাতে আরামের ঘুম হয়েছে শহরবাসীর। দীর্ঘদিনের প্যাচপেচে ঘামের অস্বস্তির পর অবশেষে তুমুল বৃষ্টি। যার তোড়ে আর্দ্রতার সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে গিয়েছে চড়া তাপমাত্রাও। গতকাল বিকাল থেকেই সেজেগুজে শহরের আকাশে হাজির বর্ষা। কখনও ঝমঝমে, কখনও ঝিরিঝিরি। টানা বৃষ্টিতে স্নাত গোটা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। কিন্তু স্বস্তি কতক্ষণের? ঘর পোড়া গরুর মতোই এখন সেই প্রশ্ন শহরবাসীর মনে।
গতকালই অলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানান হয়েছিল, বৃষ্টি শুরু হলেও এই স্বস্তি সাময়িক। এমনকী এ দিন সকাল থেকে বৃষ্টি কমে গিয়ে ফের গরম বাড়ার সম্ভাবনার কথাও বলেছিল হাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: প্রথম বৃষ্টিই দেখিয়ে দিল প্রস্তুত নয় শহর
রাস্তা না নদী? চায়না টাউনের কাছে পার্ক সার্কাস- বাইপাস কানেকটরে বিশ্বনাথ বণিকের ছবি।
কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, গুগলিই দিয়েছে বর্ষা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, গতকাল খাস কলকাতার উপরে মেঘের উচ্চতা ছিল ১৫ কিলোমিটারেরও বেশি। আর সেই মেঘের ধাক্কাতেই এ বার গোটা দক্ষিণবঙ্গেই গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে বর্ষা।
সোমবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি থামেনি মঙ্গলবার সকালেও। আকাশের মেজাজ মর্জি দেখে আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস আজ সারাদিনই বৃষ্টি হবে শহরজুড়ে। নাকাল করা গরম থেকেও মিলবে রেহাই।
আরও পড়ুন: স্যানিটারি প্যাডের যন্ত্র স্কুলে স্কুলে
জানা যাচ্ছে, গোটা দক্ষিণবঙ্গের উপরেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে বর্ষা। তার জেরেই জলীয় বাষ্পকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যে ঢুকেছে মৌসুমি বায়ুও। সেই জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়েই বৃষ্টির মেঘ তৈরি করছে।
অন্য দিকে, টানা প্রায় ১৭ ঘণ্টা বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহরের বেশ কিছু এলাকা। বৃষ্টির কারণে সকাল থেকেই ব্যাপক যানজটে আটকে মা উড়ালপুল, পার্ক সার্কাস এবং এম জি রোডের মতো শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি।
বাঁ দিকের ছবিটি বারাসত স্টেশনে সুদীপ ঘোষের তোলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy