অতিথি: মুম্বই থেকে এসে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছে বিমান। এই বিমানটিই পরে ১৫৪ জন যাত্রী নিয়ে উড়ে যায় মুম্বই। ছবি: সন্দীপ পাল।
দিল্লির ছাড়পত্র নিয়ে ইন্সট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস) চালু হতে বাকি অন্তত দুই মাস। তাই দুপুরে একযোগে ভিড় নয়, সাত সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি সময়সূচি ছড়িয়ে দিয়ে বাগডোগরায় বিমান চলাচল করাতে চাইছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এএআই)। রবিবার সকাল থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে গরমের মরসুমের সূচি কার্যকরী হয়েছে। অক্টোবর মাস অবধি এই সূচি চলবে। তাতে সকাল ৭-৪০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা অবধি বিমানের সময়সূচি ঠিক করা হয়েছে।
এ দিনই দুপুরে, দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী, মুম্বই থেকে বাগডোগরা সরাসরি বিমান চালু করল বিমান সংস্থা জেট। বাগডোগরা থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে বিকেলে মুম্বই পৌঁছে যাওয়া যাবে। অর্থাৎ, এই নিয়ে কলকাতা, দিল্লি ও গুয়াহাটির মতো মুম্বইয়ের সঙ্গেও নিয়মিত বিমান যোগাযোগ তৈরি হল। জলকামান দিয়ে স্বাগত জানানো হয় বিমানটিকে। বিমানবন্দর অধিকর্তা রাকেশ সহায় বলেন, ‘‘দিল্লি, কলকাতা, গুয়াহাটি সঙ্গে মুম্বইয়ের সঙ্গেও আমরা সরাসরি জুড়ে গেলাম। এ দিন থেকেই শুরু হল গরমের সময়সূচিও। এখন লক্ষ্য দ্রুত আইএলএস চালু করা।’’
অধিকর্তা জানান, নতুন টার্মিনাল, রানওয়ের মতো পরিকাঠামো যত দিন না বাড়ছে, তত দিন দুপুর নাগাদ ভিড় না করে, সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি বিমান চলাচলে জোর দেওয়া হয়েছে। আইএলএসের ছাড়পত্র আসলে সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা অবধি বিমান চালানো যাবে।
বাগডোগরায় বায়ুসেনার নিয়ন্ত্রাধীন এটিসি’র অনুমতি সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা অবধি। প্রতিদিন ২২টির মতো বিমান বাগডোগরা এসে নানা গন্তব্যে যাচ্ছে।
এ দিন সকাল ৭-৪০ মিনিটে কলকাতা থেকে জেটের বিমানই এসে ৮-০৫ মিনিটে আবার কলকাতা ফিরে গিয়েছে। তেমনই, কলকাতা থেকে বিকালে ৫-৩৫ মিনিটে আরেকটি জেটের বিমান এসে সন্ধ্যা ৬-০৫ মিনিটে দিল্লি যায়। এত দিন শীতের সূচিতে ১১টার পর বিমান চলাচল শুরু হত। তা সাড়ে ৪টার মধ্যে শেষ হত। বিমানবন্দরের অফিসারেরা জানান, মার্চ মাস থেকে এমনিতেই দৃশ্যমানতা বেশি থাকে। তার পরে আইএলএস চালু হলে দৃশ্যমানতা ২ কিলোমিটার থেকে ৫৫০ মিটারে নেমে আসবে।
জেট এয়ারওয়েজের ভাইস প্রেসিডেন্ট (কর্মাশিয়াল) প্রবীণ আইয়ার নতুন বিমানের যাত্রীদের স্বাগত জানান। তিনি জানান, মুম্বই থেকে সকাল ১০টা বিমানটি ছেড়ে বাগডোগরায় আসবে বেলা ১টায়। ফের দেড়টায় উড়ে সাড়ে ৪টায় মুম্বই পৌঁছে যাবে। এদিন ১৬৮ আসনের বিমানটিতে বাগডোগরা এসেছেন ১৫৬ জন যাত্রী। মুম্বই গিয়েছেন ১৫৪ জন। সিকিম, দার্জিলিং-সহ উত্তরবঙ্গ, বিহারের একাংশের কথা মাথায় রেখে বিমানটি চালু হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy