আগে বলেছিলেন, ‘‘বিরোধীরা মনোনয়ন দিতে বেরিয়ে দেখবেন, রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে রয়েছে।’’ রবিবার বললেন, ‘‘সোমবার দলীয় কার্যালয়ে থাকব। বিরোধীদের কোনও সমস্যা হলে বলবেন, সাহায্য করব।’’
তিনি বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। বিরোধীদের মনোনয়নে যাতে কোনও কষ্ট না হয় তা দেখার জন্য আজ, সোমবার সিউড়ির তৃণমূল অফিসে হাজির থাকবেন ‘কেষ্টদা’। সিউড়িতেই মহকুমাশাসকের দফতরে হবে জেলা পরিষদের মনোনয়ন। হাইকোর্টের নির্দেশের আগেই কার্যত বিরোধীশূন্য জেলা পরিষদ গড়ে ফেলেছিলেন অনুব্রত। জেলা পরিষদের একমাত্র বিজেপি প্রার্থীও পরে মনোনয়ন তুলে নেন তৃণমূলের ‘উন্নয়ন’-এ শরিক হতে চেয়ে।
এ বার অনুব্রতই এ ভাবে তাঁদের সহায়তা করতে এগিয়ে আসার পরেও সিঁদুরে মেঘ দেখছেন জেলার বিরোধী নেতারা। সিপিএমের বীরভূম জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদা বলেন, ‘‘পুরোটাই প্রহসন।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলছেন, ‘‘ওঁর ছল বোঝা মুশকিল। গ্রামে গ্রামে বাইক-মিছিল শুরু হয়ে গিয়েছে।’’
বীরভূমের ঘটনাকে অবশ্য বিচ্ছিন্ন উদাহরণ হিসেবে দেখছে না বিরোধী দলগুলি। তাদের অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগেই কিছু জেলায় শুরু হয়েছে গোলমাল। বর্ধমানের আউশগ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ও পটাশপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে বিরোধীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আরামবাগে বিজেপির একটি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। তৃণমূল সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, কোথাও কোনও গোলমালে দলের কেউ জড়িত নন। বরং বিরোধীদের হাতে তাদের দলের কর্মীরা মার খেয়েছে বলেও অভিযোগ এনেছে শাসক দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy