প্রতীকী ছবি।
বিচারপতির নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আলিপুরে মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না ভাঙড় জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটির প্রার্থীরা। এর আগেও হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে না পারায়, সোমবার ফের হাইকার্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কমিটির সদস্যরা। হাইকোর্ট কমিশনকে নির্দেশ দেয়, নির্ধারিত সময়ের পরে হলেও ১১ জনের মনোনয়ন নিতে হবে। অভিযোগ, আলিপুরে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে, শাসক দলের কর্মীরা তাঁদের সমস্ত নথি কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। শুধু তাই নয়, জমি কমিটির নেত্রী শর্মিষ্ঠা চৌধুরী-সহ তিন জনকে ধরে নিয়ে গিয়ে ঘণ্টা দেড়েক আটকে রাখারও অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে।
সোমবার কমিটির পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, পোলেরহাট-২ নম্বর পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের ১৬ জন মনোনয়ন পেশ করেছেন। কোনও বিরোধী প্রার্থী এখনও পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। কমিটি অভিযোগ করে, বিডিও এবং এসডিও অফিস সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের দখলে। সেখানে কোনও ভাবে বিরোধীরা ঢুকতে পারছেন না।
বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এই অভিযোগ শোনার পরই আদালতে উপস্থিত কমিশনের সচিবকে ১০ মিনিট সময় দেন বাস্তব পরিস্থিতি জেনে আদালতকে জানাতে। সচিব নীলাঞ্জন শান্ডিল্য আদালতে ফিরে এসে স্বীকার করে নেন যে ১৬টি মনোনয়ন জমা পড়েছে এবং সোমবার নতুন কোনও মনোনয়ন জমা পড়েনি।
আরও পড়ুন: নির্লজ্জ বেলাগাম সন্ত্রাস, বোমা-বন্দুক হাতে ঝাঁপাল শাসক, নিহত ৩
বিচারপতি কমিশনের রিপোর্ট শোনার পরই কমিশনকে জমি রক্ষা কমিটির ১১ জনের মনোনয়ন জমা দেওয়া সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন। আদালত কমিশনকে বলে, প্রয়োজনে এই ১১ জনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সময়ের ব্যবস্থা করবে কমিশন। একই সঙ্গে বিচারপতি জানান, অতিরিক্ত সময়ের বিষয়টি শুধু এই ১১ জনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরই কমিটির সদস্যরা আলিপুর জেলাশাসকের দফতরে পৌঁছন। অভিযোগ, জেলাশাসকের অফিস চত্বরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের ঘিরে ধরে শাসক দলের সশস্ত্র কর্মী সমর্থকরা। “আমাদের ঘিরে ধরে অফিস থেকে টেনে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। সমস্ত নথি ছিঁড়ে ফেলা হয়। দীর্ঘ ক্ষণ আটকে রাখে। পুলিসের সামনেই গোটা ঘটনা ঘটে, অথচ তারা ছিল দর্শক”— বলেন কমিটির নেত্রী শর্মিষ্ঠা চৌধুরী। ছাড়া পাওয়ার পরই তাঁরা আলিপুর থানায় যান অভিযোগ দায়ের করতে। মঙ্গলবার গোটা বিষয়টি আদালতেও জানাবেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy