প্রতিপক্ষ শক্তিশালী। হাতে সময়ও কম। তাই কম সময়ে বেশি সংখ্যক আসনে মনোনয়ন জমা দিতে রিজার্ভ বেঞ্চ তৈরি রাখছে বিজেপি।
তাই চন্দ্রকোনা, পিংলা, নারায়ণগড় এলাকায় বিজেপির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজনকে বিকল্প প্রার্থীকে তৈরি রাখা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে শনিবার রাতেই ফের মনোনয়নের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। ওই রাত থেকেই ফাঁকা থাকা আসনের জন্য প্রার্থী খোঁজা শুরু করেছিল বিজেপি। রবিবারও সারাদিন সেই খোঁজ চলেছে। আগেভাগেই বহু এলাকায় প্রার্থী বাছাই করে রাখা ছিল। কিন্তু মনোনয়নের সময়সীমা বাড়তেই সেই প্রার্থীদের উপর ‘চাপ’ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে বিজেপির অভিযোগ। তাই এ দিন বাছাই করা প্রার্থীর সঙ্গেই চলেছে বিকল্প প্রার্থীর খোঁজ। সে ক্ষেত্রে আগে থেকে নির্ধারিত প্রার্থীরা শাসক দলের ‘চাপে’র মুখে মনোনয়ন জমা দিতে না পারলে বিকল্প প্রার্থীরা এগিয়ে আসবেন।
বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রতন দত্ত বলেন, “চন্দ্রকোনা ও পিংলায় সন্ত্রাস চলছে। ব্লক অফিসে মনোনয়ন কতটা সুষ্ঠু ভাবে হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সে জন্য বিকল্প প্রার্থী রাখতে হচ্ছে।” একই ভাবে বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক অরূপ দাস মানছেন, “কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি কয়েকজনকে বিকল্প প্রার্থী হিসাবে রাখতেই হচ্ছে।”
তবে বিজেপিরই এক সূত্রের খবর, মনোনয়নের সুযোগ এলেও বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। যেমন, পিংলার জলচক-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় মহিলা সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী পাচ্ছে না বিজেপি। একই ছবি দাঁতন-২ ব্লকে। বিজেপির ওই ব্লকের পশ্চিম মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত বেরা বলেন, “আমাদের ব্লকে মূলত জেনকাপুর এলাকায় সন্ত্রাসের জন্য প্রার্থী পাইনি। রবিবার সকাল থেকে চেষ্টা চালাচ্ছি কিন্তু কাউকে রাজি করানো যাচ্ছে না। কেরিয়া, জেনকাপুর, লালিচক, গৌরদায় সন্ত্রাস চলছে।”
যদি ‘সন্ত্রাসে’ মনোনয়নই দেওয়া না যায় তা হলে কী ভাবে রিজার্ভ বেঞ্চ তৈরি সম্ভব? অরূপবাবুর জবাব, ‘‘জেলা জুড়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস চলছে। যেখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছি সেখানে বিকল্প প্রার্থীর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy