রাজনাথ সিংহ
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গে এখন চূড়ান্ত অস্থিরতা। দফায় দফায় কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন রাজ্যপাল। গত কালই ভোট প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই পরিস্থিতিতে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানালেন— পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার অভিযোগ উঠলেও কেন্দ্র কোনও ভাবেই তাতে নাক গলাবে না। তবে রাজ্য সাহায্য চাইলে আলাদা কথা।
আজ একটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমে রাজনাথ সিংহের সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েতের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে রাজনাথ জানান, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। যদি রাজ্য সরকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়, সে ক্ষেত্রে তারা নিজেরাই কেন্দ্রের সাহায্য চেয়ে থাকে। কেন্দ্র নিজে থেকে রাজ্যকে কিছু চাপিয়ে দিতে পারে না।’’ রাজনাথ ওই যুক্তি দিলেও, রামনবমীর সময়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়ায় রাজ্যকে নিজে থেকেই আধাসেনা দিয়ে সাহায্য করার প্রস্তাব দেয় কেন্দ্র। চাওয়া হয় রিপোর্টও। অভিযোগ ওঠে পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারও রামনবমীতে একই ভাবে গোষ্ঠী সংঘর্ষের শিকার হয়। কিন্তু সেখানে জেডিইউ-বিজেপির জোট সরকার থাকায় কোনও রিপোর্ট চাওয়া হয়নি।
সে সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নবান্নের কাছে রিপোর্ট চাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু আজ রিপোর্ট চাওয়ার কথা তা মানতে চাননি রাজনাথ। তিনি বলেন, ‘‘বিহার আধাসেনা চেয়েছিল। তাই তা পাঠানো হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গেও গন্ডগোল চলছিল। তাই ওই রাজ্যের আধাসেনা প্রয়োজন কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল।’’ রাজনাথের দাবি, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সুষ্ঠু সম্পর্ক রক্ষা করাটা তাঁর যুক্তরাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।
আরও পড়ুন:
এক বছর পরেই লোকসভা নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই দল ওই যুদ্ধে নামার পরিকল্পনা নিয়েছে। কিন্তু দলের একটি অংশ মনে করে, ভোটের ফলাফলে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না হলে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে উঠে আসতে পারে রাজনাথ সিংহের নাম। আজ অবশ্য সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে রাজনাথ বলেন, ‘‘আমাদের সংসদীয় দলের নেতা নরেন্দ্র মোদী। তাঁর নেতৃত্বেই দল আগামী নির্বাচনে সরকার গড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy