ফাইল চিত্র।
বাধাহীন ভাবে মনোনয়ন জমা দেওয়া ‘সুনিশ্চিত’ করতে পুলিশকে তাদের ‘ভূমিকা’র কথা মনে করিয়ে দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্র কুমার সিংহ। ওই বার্তা দিয়ে রবিবার রাজ্যের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে চিঠি লিখেছেন কমিশনার। পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপারদেরও একই নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
সূত্রের খবর, পুলিশকে পাঠানো নির্দেশিকার সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের কপিও যুক্ত করেছেন কমিশনার। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পুলিশকে যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা-ও ওই চিঠিতে ফের মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে কমিশনার চিঠিতে জানিয়েছেন, মনোনয়ন পর্ব ঘিরে কোথাও কোনও অভিযোগ এলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশকে। আর কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, পুলিশের তরফে তা জানাতে হবে কমিশনারকে। বীরভূমের রামপুরহাট, নলহাটি, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ, কান্দি, রানিনগর, নদিয়ার হরিণঘাটা, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে মনোনয়ন বাধাহীন করতে পুলিশকে বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। ভোট-সংঘর্ষ ঠেকাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত মঙ্গলবারও পুলিশকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
আজ, সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন আগ্রহীরা। সব আগ্রহী ব্যক্তির মনোনয়ন জমা দেওয়া নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শনিবার রাতে জেলাশাসক এবং জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচন আধিকারিকদের নির্দেশ দেন কমিশনার। তার প্রতিলিপিও পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপারদের পাঠানো হয়েছে।
তবে সোমবার ফের মনোনয়ন জমা নেওয়া সংক্রান্ত কমিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে কয়েকটি বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তা নিয়ে জেলাগুলি থেকে কমিশনের কাছে প্রশ্ন এসেছে। সেগুলির জবাব খুঁজতে রবিবার কমিশনের প্যানেল বৈঠকে বসে। প্রথম
দফায় যাঁদের মনোনয়ন স্ক্রুটিনিতে বাতিল হয়েছে, তাঁরা কি ফের মনোনয়ন জমা দেওয়ার যোগ্য? কমিশনের বক্তব্য, এক জন ব্যক্তি একটি আসনের জন্য সর্বোচ্চ চারটি মনোনয়ন জমা দিতে পারেন। তাই যাঁরা তার চেয়ে কম মনোনয়ন দিয়েছেন, তাঁদের আবার সুযোগ থাকবে।
বিজেপি, বাম এবং কংগ্রেসের তরফে মহকুমাশাসকের দফতরেই তিনটি স্তরেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। তবে কমিশনের যুক্তি, হাইকোর্ট মনোনয়ন পর্ব বাধাহীন করতে বলেছে। কিন্তু তা কোথায় জমা নিতে হবে, সে ব্যাপারে আদালতের কোনও পৃথক নির্দেশ নেই। তাই স্বাভাবিক নিয়মেই মনোনয়ন জমা নেওয়া হবে। সোমবার বেলা ১১টা থেকে ৩টে পর্যন্ত বিডিও দফতরে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির এবং মহকুমাশাসকের দফতরে জেলা পরিষদের মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। মনোনয়ন পর্ব শুরুর আগে ব্লক এবং জেলাগুলিতে পৌঁছে যাওয়ার কথা পর্যবেক্ষকদের।
ভোটগ্রহণের নির্ঘণ্ট অবশ্য এ দিনও ঘোষণা হয়নি। আজ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি। তার পরেই ভোটগ্রহণের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হতে পারে বলে কমিশন সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy