Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সুরক্ষার হাল নিয়েই আশঙ্কায় বিরোধীরা

তাদের প্রশ্ন, রাজ্য পুলিশ দিয়ে এক দিনে ৫৮ হাজারের বেশি বুথে সুরক্ষার ব্যবস্থা হবে কী ভাবে? ভোটের দিন নিয়ে ফের আদালতে যাওয়া যায় কি না, তা-ও ভাবনাচিন্তা করছে বিরোধী বিজেপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

মনোনয়ন-পর্বেই অশান্তির অভিযোগ এসেছে ভূরি ভূরি। এর পরে গোটা রাজ্যে এক দিনে ভোট হলে পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘রক্তাক্ত’ হবে বলেই আশঙ্কা করছে বিরোধীরা। তাদের প্রশ্ন, রাজ্য পুলিশ দিয়ে এক দিনে ৫৮ হাজারের বেশি বুথে সুরক্ষার ব্যবস্থা হবে কী ভাবে? ভোটের দিন নিয়ে ফের আদালতে যাওয়া যায় কি না, তা-ও ভাবনাচিন্তা করছে বিরোধী বিজেপি।

বাম, বিজেপি ও কংগ্রেস বা এসইউসি, পিডিএস— সব বিরোধীরই মূল বক্তব্য দুটো। প্রথমত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে ‘অর্থপূর্ণ’ আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে। কিন্তু কমিশন শুধু রাজ্য সরকারের মত জেনে একতরফা ভাবে দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে। আর দ্বিতীয়ত, রাজ্যের হাতে যা পুলিশ আছে, তাতে প্রতি বুথে এক জন করে সশস্ত্র উর্দিধারী রাখাও কঠিন!

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে বলেন, ‘‘কমিশনে শুক্রবার সব দলের বৈঠক আছে। কমিশন কী আশ্বাস দেয়, দেখা যাক। সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস না মিললে নিশ্চয়ই আদালতে যাব।’’ বিজেপিরই একাংশ অবশ্য আর আদালতে যাওয়ার পক্ষপাতী নয়। তাদের যুক্তি, আবার আদালতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে পারবেন, ভোট পিছোতে চায় বিজেপি। সেটা দলের ভাবমূর্তির পক্ষে ইতিবাচক হবে না।

বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর বক্তব্য, ‘‘মনোনয়ন এবং প্রার্থী-পদ তোলানোর জন্য যা হচ্ছে, তার পরে এক দিনে ভোট করতে গেলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হবে! এই ভাবে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ অসম্ভব। কমিশন কি রক্তাক্ত নির্বাচনের দিন চাইছে?’’

দিল্লিতে এ দিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন কমিশনার ‘নবান্নের ধামাধরা গোলাম’! তাঁর কথা কেউ শোনে না, তিনিও কারও কথা শোনেন না! অধীরবাবুর কথায়, ‘‘প্রচারের ন্যূনতম ২১ দিন সময়ও দেওয়া হল না! এক দিনে প্রায় ৫৮ হাজার বুথে পুলিশ দেওয়ার ক্ষমতা আছে? মুখ্যমন্ত্রী তো গোলাবারুদ দিয়ে সকলকে নামিয়ে দেবেন!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE