দলনেত্রী: নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
বাংলায় গণতান্ত্রিক অধিকার না থাকলে পঞ্চায়েতে এতগুলি আসনে এত সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করা যেত না বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আরও দাবি, ‘‘এত বড় নির্বাচনে কয়েকটা জায়গায় বিক্ষিপ্ত ঘটনাও যদি হয়, আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিয়েছি।’’ জয়-পরাজয়ের ছবি স্পষ্ট হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এক দিকে আদালত। অন্য দিকে প্রচারমাধ্যমে বিচার। তার মধ্যে যতটা পেরেছি, নিরপেক্ষ ভাবে করার চেষ্টা করেছি। এই জয় আমরা মানুষের জন্য উৎসর্গ করছি।’’ তিনি জানান, ভোট-সন্ত্রাসে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁরা যে দলেরই হোন, সকলের পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া, যে প্রিসাইডিং অফিসার ভোটের কাজে এসে রেল-দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন, তাঁর পরিবারকেও সাহায্য করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের বক্তব্যে বার বার ঘুরে ফিরে এসেছে, কুৎসা এবং অপপ্রচারের কথা। শুধু প্রচারমাধ্যমের বিরুদ্ধেই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেও এ দিন তোপ দেগেছেন তিনি। ভোটের দিন সন্ধ্যায় বিজেপি-র কেন্দ্রীয় দফতরে দলীয় কর্মীদের সভায় প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। এ দিন তারই জবাবে মমতা বলেন, ‘‘এটা আমরা আশা করিনি। এক জন প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিরুদ্ধে বলেছেন। কিন্তু আমি তা-ও কিছু বলিনি। কারণ, এটা ভদ্রতা। এক জন প্রধানমন্ত্রী এবং এক জন মুখ্যমন্ত্রী পরস্পরের বিরুদ্ধে এমন কথা বলতে পারেন না, যা সাংবিধানিক ভাবে সাজে না। বিজেপি-র কথায় যাচাই না করেই তিনি বললেন। জানা উচিত, আমার ১০ জন তৃণমূল কর্মীকে বিজেপি খুন করেছে।’’ ঝাড়খণ্ড, অসম, এমনকী, বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়েও বহু লোক এ রাজ্যে ঢুকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তি করেছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কিছু ঘটনা ধরা পড়েছে। আমরা এই সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত নই। ত্রিপুরা নির্বাচনে আমাদের চোখ খুলে গিয়েছে। ওখানে সিপিএম চেপে গিয়েছিল। আমরা প্রতিবাদ করেছি।’’
আরও পড়ুন: প্রত্যাশিত জয়, তবু পূর্ণগ্রাস হল না
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy