Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনে দিল্লি অনেক সাহায্য করেছে, মানলেন গুরুঙ্গ

বিনয় তামাঙ্গ, অনীত থাপাদের তিনি রাজ্যেরই ধামাধরা বলে উল্লেখ করে নিজের সমর্থকদের জানালেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে ইতিবাচক সাহায্যই পাচ্ছেন তিনি।

বিমল গুরুঙ্গ। —ফাইল চিত্র।

বিমল গুরুঙ্গ। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৪৯
Share: Save:

সুপ্রিম কোর্টে কিছুটা স্বস্তি পাওয়ার পরে প্রথমে দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন বিমল গুরুঙ্গ। একই সঙ্গে পাহাড়ের মানুষের কাছে বার্তা দেওয়ার চেষ্টাও করেন। তার পরে পাহাড় নিয়ে চতুর্থ সর্বদল বৈঠকটি হয় শিলিগুড়ির কাছে পিনটেল ভিলেজে। এই বৈঠকের দু’দিনের মধ্যে গুরুঙ্গ যে বিবৃতিটি দিলেন, তা কিন্তু বেশ ওজনদার। সেখানে তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে তাঁর লড়াই রাজ্যের বিরুদ্ধে। বিনয় তামাঙ্গ, অনীত থাপাদের তিনি রাজ্যেরই ধামাধরা বলে উল্লেখ করে নিজের সমর্থকদের জানালেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে ইতিবাচক সাহায্যই পাচ্ছেন তিনি।

গুরুঙ্গকে কতটা সহায়তা করা হবে, তাই নিয়ে দোলাচলে ছিল বিজেপি। এর ফলে বাংলার বাকি অংশে বিরূপ বার্তা যাবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে দলে। সম্প্রতি গুরুঙ্গের পক্ষে সওয়াল করতে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হন দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আইনজীবী হরিশ সালভে। তার পরেই কানাঘুষো শুরু হয়, তা হলে কি পিছন থেকে কেন্দ্র সাহায্য করছে গুরুঙ্গকে? এ দিনের বিবৃতিতে কার্যত সেটাই মেনে নিলেন গুরুঙ্গ। দাবি করলেন, ‘‘আমি কেন্দ্রের কাছ থেকে খুব ইতিবাচক সাড়া
পেয়েছি। খুব শীঘ্রই আলোচনার জন্য দিল্লি যাচ্ছি।’’

এই বিবৃতিতে গুরুঙ্গ বরাবরের মতো বিনয়-অনীতদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। অভিযোগ করেছেন, গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনকেই ওঁরা বিকিয়ে দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে বরাভয় দিয়েছেন নিজের সমর্থকদের। জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে সব মামলাতেই স্বস্তি দিয়েছে। এই নিয়ে বিরোধীপক্ষ ‘মিথ্যে’ কথা রটাচ্ছে। একই সঙ্গে বলেছেন, ‘‘গোর্খাল্যান্ড-আন্দোলনকারী ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যে সব মিথ্যে মামলা করেছে রাজ্যে, সেগুলিও আমার আইনজীবীরা খতিয়ে দেখছেন।’’ যাঁরা তাঁকে ছেড়ে গিয়েছেন, তাঁদের প্রতি গুরুঙ্গের বার্তা, ‘‘লোভে পড়ে নিজেকে বেচবেন না। ঘরে ফিরে আসুন।’’

আরও পড়ুন: পড়তে চেয়ে কোর্টে গেল অন্য ঈশান

বিনয়-অনীত অবশ্য এই বার্তাকে পাত্তা না দিয়ে বলছেন, ‘‘উনি যদি পাহাড়বাসীর জন্য এতই ভাবেন, তা হলে নিজের মামলা আগে লড়ছেন কেন? সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের কোটি কোটি টাকাই বা কোথা থেকে দিচ্ছেন? আসলে দিন শেষ বলেই এখন শুধু সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন গুরুঙ্গ।’’

তবে পাহাড়বাসীদের একাংশ মনে করছেন, এই ভাবে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনকারী, যাঁরা তাঁকে ছেড়ে গিয়েছেন, এমনকী সাধারণ পাহাড়বাসী— সকলকে বার্তা দিতে চেয়েছেন গুরুঙ্গ। কিন্তু এর পরে তিনি দ্রুত দিল্লি না গেলে আর কথার গুরুত্ব থাকে না। সকলে এখন তাই সে দিকেই তাকিয়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE