ছবি: সংগৃহীত।
বন্ধ উঠেছে। এ বার প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে পাহাড়ের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বিনয় তামাঙ্গ-অনীত থাপা জুটি। তাঁদের ধারণা, এ ভাবেই বিমল গুরুঙ্গ ও তাঁর অনুগামীদের আরও কোণঠাসা করে ফেলতে পারবেন।
দীর্ঘ দিনের বন্ধের পরে পাহাড়ে মানুষ এখন নানা পরিষেবার জন্য তৃষ্ণার্তও হয়ে রয়েছেন। তাই বিনয়-অনীতরা চাইছেন, প্রথমেই সুসংহত শিশু সেবা বিকাশ প্রকল্পের (আইসিডিএস) আওতায় থাকা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলোকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে ঘরে ঘরে মহিলা ও শিশুদের পাশে দাঁড়াতে। সেই সঙ্গে, বড়-মাঝারি-ছোট মিলিয়ে পাহাড়ের শহর ও গ্রামের প্রায় ১৫০টি রাস্তার জরাজীর্ণ অংশের মেরামতিও জরুরি ভিত্তিতে করবে জিটিএ। বিনয়ের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, এই ভাবেই সাধারণ মানুষের আস্থা তাঁরা আরও জয় করতে পারবেন। কট্টরপন্থীরাও তাতে আরও জমি হারাবে।
বিনয়-অনীত কেয়ারটেকার বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পরেই পাহাড়ে দ্রুত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি চালু ও বেহাল রাস্তা সারানোর বিষয়ে উদ্যোগী হন। বিনয় খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, বন্ধ উঠলেও ১৯৪৯টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অর্ধেকেই এখন সুষ্ঠু পরিষেবা মিলছে না। জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্তের সঙ্গে কথা বলেন জিটিএ সদস্যরা। বিনয়ের বক্তব্য, সব অচল করে ঘরদোর বন্ধ করে থাকলে গোর্খাল্যান্ডের দাবি আদায় হবে না। বরং, উন্নয়নের পথে চলে, পর্যটনের প্রসার ঘটিয়ে দাবি আদায়ের পথ মসৃণ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘বোঝাতে হবে, সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন পেলে আমরা পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়ন করতে সমর্থ।’’
বিনয়দের উপরে নজর রেখেছে শাসকদলও। তৃণমূলের পাহাড় কমিটির সভাপতি রাজেন মুখিয়া বলেন, ‘‘আমাদের সহযোগিতা চাইলে করব। তবে কোনও কাজে যাতে দুর্নীতি না হয় সেটা বিনয়-অনীতকে খেয়াল রাখতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy