Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় হবেই: পার্থ

বোলপুরের শিবপুরে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ই হবেই। এ কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে ৩৫ তম বার্ষিক জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে যোগ দেন শিক্ষামন্ত্রী।

সমবেত: বোলপুরে জেলা প্রাথমিক ক্রীড়ার অনুষ্ঠানে। নিজস্ব চিত্র

সমবেত: বোলপুরে জেলা প্রাথমিক ক্রীড়ার অনুষ্ঠানে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:৫২
Share: Save:

বোলপুরের শিবপুরে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ই হবেই। এ কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে ৩৫ তম বার্ষিক জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে যোগ দেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানেই শিক্ষামন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রী এ বারের শিক্ষা বাজেটে ছ’গুণ অর্থ বরাদ্দ করেছেন। তিনি আরও বলেন, “কোনও স্কুলে শিক্ষক আছেন, ছাত্র নেই। আবার কোনও স্কুলে উল্টো ছবি। আমরা সে দিকগুলো দেখছি। এমন ভাবে পুনর্বিন্যাস করছি যাতে সব স্কুল শিক্ষক পায়।”

এ দিন সকাল থেকে বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে শুরু হয় ৩৫ তম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী, জেলা পুলিশ সুপার সুধীর কুমার নীলকান্ত, এসআরডিএ-র চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, মহকুমাশাসক শম্পা হাজরা, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতি রাজা ঘোষ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষা রাজেটে প্রায় ছ’গুণ বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছে। আমরা প্রতিটি স্কুলকে সাইকেল, জুতো-সহ বিভিন্ন তহবিলের অর্থ দিচ্ছি। যাতে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করতে পারে।” শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, “আমরা প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্তরে প্রায় এক লক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করেছি। আরও শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।”

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মুকুল রায়কে কটাক্ষ করে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যাঁকে বাড়ির লোক নিরাপত্তা দিচ্ছে না। নিজের ছেলে বলছে, আমি দলে (বিজেপিতে) যাব না। তাঁকে ওয়াই, জেড স্তরের নিরাপত্তা দিয়ে কী হবে। ওই চারটে লোক সঙ্গে ঘুরবে। হাতি-ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।” তারপরেই বলেন, “এখানে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ই হবেই। রবীন্দ্রচর্চা, রবীন্দ্রসাহিত্য নিয়ে গবেষণাও হবে। অনেকেই বিশ্বভারতীতে পড়ার সুযোগ পান না। যদি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে, তা হলে এই অঞ্চলের পাশাপাশি জেলারও উন্নতি হবে। কর্মসংস্থান হবে, মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE