নেত্রী: বক্তা লকেট। নিজস্ব চিত্র
আমার কোনও ক্ষতি হলে, তার জন্য দায়ী থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল।— শনিবার বোলপুরের শ্রীনিকেতন রাস্তার ওপর একটি বেসরকারি অনুষ্ঠান ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই জানালেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এর আগে দলীয় বিস্তারক কর্মসূচির প্রচারে জেলায় তিনি আক্রান্ত এবং হেনস্থার শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন।
চলতি মাসের ১৬ তারিখে সাঁইথিয়ার তিলপাড়া গ্রামে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় যখন প্রচারে যান, তখন তাঁকে ঘিরে ধরে এক দল মহিলা। তার গাড়ির দরজা খুলে, নামিয়ে হেনস্থারও চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। ওই সব মহিলাদের দাবি ছিল, রোজভ্যালিতে তাঁদের অনেক টাকা চোট হয়ে গিয়েছে। নেত্রী লকেট যেহেতু এক সময় ওই সংস্থার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাই ওই টাকা কোথায় গেল এবং ফেরতের দাবিতে ঘিরে ধরেছিলেন। গত ১৩ জুন মুরারইয়ের গোপালপুর গ্রামে বিজেপি বিস্তারক কর্মসূচিতে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের হাতে ঘেরাও হন লকেট। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য কর্মী-সমর্থক নিয়ে মুরারই থানা যাওয়ার পথে, ভাদীশ্বর বাসস্টপে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গাড়িতে ভাঙচুর করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। পরে এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হলেও, আজও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার বা আটক করেনি।
এ দিন লকেট সাংবাদিকদের বলেন, “কয়েক দিন আগে অনুব্রত মণ্ডল ময়ূরেশ্বরের গিয়ে প্রকশ্যে হুমকি দিয়েছেন যে, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি দেখলেই আটকাতে হবে। আগের বার উনি কর্মী সভায় প্রকাশ্যে এই রকম কথা বলেছিলেন। বোমা মেরে উড়িয়ে দাও। আগুন জ্বালিয়ে দাও। পরবর্তী কালে দেখা গিয়েছে, পাড়ুইয়ের সাগর ঘোষ খুন হয়েছেন।’’
তাঁর দাবি, ‘‘আমাকে ফোন কল করেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে, কলকাতায় চলে যান, এলাকা থেকে বেরিয়ে যান। আমাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে ফোনে। নাম্বার কি করে পেল জানি না!”
অনুব্রত বলেন, “বিজেপির যে পর্যবেক্ষক কইলাশ বিজয়বর্গী বা রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যদি কিছু বলেন, তাহলে আমি উত্তর দেব। ওর কোনও কথার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন আমি মনে করি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy