নবান্নের পাল্টা লালবাজার অভিযান।
বামেদের নবান্ন অভিযান ঘিরে সোমবার উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজপথ। আর সেই দিনই লালবাজার অভিযানের আগাম হুমকি দিয়ে রাখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আগামী বৃহস্পতিবার লালবাজার অভিযান করবে বিজেপি। এ দিন দিলীপ বলেন, ‘‘লক্ষাধিক লোক নিয়ে তিন দিক থেকে ঘিরে লালবাজারের উদ্দেশে যাওয়া হবে। পুলিশ যেন আটকানোর চেষ্টা না করে। আটকালে বুঝিয়ে দেব আমরা সিপিএম নয়, আমরা বিজেপি।’’
কিন্তু বিজেপি কি সিপিএমের নবান্ন অভিযানের চ্যালেঞ্জ নিতে পারবে? দিলীপবাবুর জবাব, ‘‘সোমবার যা হলো, তা আসলে পুলিশ-সিপিএম গড়াপেটার খেলা। পুলিশ মারধর করে সিপিএমকে একটু চাগিয়ে তুলতে চাইছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিজেপি দেখিয়ে দেবে আসল বিরোধী শক্তি কারা। পুলিশ বুঝবে
কার কত দম।’’
বিজেপি সূত্রের খবর, হাওড়া, শিয়ালদহ এবং কলেজ স্কোয়ার থেকে তিনটি মিছিল বৃহস্পতিবার লালবাজার অভিযানে যাবে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির জমায়েত হবে হাওড়ায়। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি, শিয়ালদহ এবং কলকাতা সংলগ্ন এলাকার লোকজন কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু করবে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারাও মিছিলে যোগ দেবেন। দলীয় সূত্রের খবর, তিনটি মিছিলের নেতৃত্বে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা থাকলেও পুলিশের মোকাবিলার জন্য বিশেষ বাহিনী থাকবে। সারা রাজ্য থেকেই লোক এনে যাতে লালবাজার অভিযান সফল করা যায়, সে জন্য রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ রাজ্যস্তরের সমস্ত নেতা জেলা সফর করছেন। কারণ, এই সফর শেষ হওয়ার পরেই নতুন উদ্যমে বুথ চলো কর্মসূচি শুরু করবে বিজেপি।
এ দিন সিপিএমের নবান্ন অভিযানকেও কটাক্ষ করেছেন দিলীপ। তিনি জানান, সিপিএম নেতারা মারধর খাওয়ার যে অভিনয় করছেন, তা না করলেই ভাল হতো। সিপিএমের উত্থানের জন্য কমরেডদের থেকেও এখন মুখ্যমন্ত্রী বেশি চিন্তিত। তিনি দিল্লি গিয়ে সনিয়া গাঁধীর কাছে সে কথা তো বলেই এসেছেন। রাজ্য সভাপতির দাবি, লালবাজার অভিযানের পরেই সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। সিপিএম-কংগ্রেস থেকে যে ভাবে প্রতিদিন বিজেপিতে কর্মী-সমর্থকরা যোগ দিচ্ছেন, তা রোখা যাবে না। ‘‘তাই বলছি, তৃণমূল সাবধান বিজেপি এসে গেছে’’, হুঁশিয়ারি দিলীপের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy