বিজেপি-র মোকাবিলায় দলীয় কর্মীদের স্থানীয় ভাবে যথেষ্ট সমারোহে রামনবমী পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বিজেপি-র আশঙ্কা, এ বার রামনবমীতে পুলিশ শুধু শাসক দল প্রভাবিত শোভাযাত্রাগুলিকেই অনুমতি দেবে। গেরুয়া শিবিরের আখড়া এবং ক্লাবগুলিকে অনুমতি দিতে চাইবে না। বিজেপি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওই আশঙ্কা সত্যে পরিণত হতে শুরু করেছে। এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘রামনবমী পালনের জন্য আমরা পুলিশের অনুমতি চাইব না। পুলিশকে জানাব মাত্র। তারা না চাইলেও রামনবমী পালন করা হবে। পুলিশ ধর্মীয় উৎসবে বাধা দিলে তার জবাব তাদের পেতে হবে।’’
রামনবমীর শোভাযাত্রায় অস্ত্র ব্যবহার করতে তৃণমূল কর্মীদের নিষেধ করেছেন মমতা। আরএসএসের দক্ষিণবঙ্গের প্রচার প্রমুখ বিপ্লব রায় একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রামনবমী শীর্ষক একটি কবিতা পোস্ট করেছেন, যেখানে লেখা আছে— ‘‘সবাই মিলে খালি হাতে/ দল বেঁধে একই সাথে/ মুখে ধ্বনি আগুন বুকে/ মিছিল হবে চতুর্দিকে।’’ অর্থাৎ, আরএসএস-ও চাইছে, এ বার রামনবমীর মিছিল হোক অস্ত্র ছাড়া খালি হাতে। কিন্তু দিলীপবাবু এ দিন বলেন, ‘‘আখড়াগুলি তাদের ঐতিহ্য মেনে রামনবমী করবে। বিজেপি দল হিসাবে কোথাও রামনবমী পালন করে না। বরাবরই হিন্দুদের বিভিন্ন আখড়া, ক্লাব জেলায় জেলায় ওই উৎসব করে। বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের কর্মীরা সংগঠনের ব্যানার ছাড়া ব্যক্তিগত ভাবে তাতে সামিল হন। সুতরাং, অস্ত্রের ব্যাপারে আখড়াগুলিকে আমরা কিছুই বলব না।’’ দিলীপবাবুর কথা থেকে স্পষ্ট, যে সব আখড়া বা ক্লাব আগে রামনবমীতে সশস্ত্র শোভাযাত্রা করেছে, তারা এ বারও তা-ই করবে। দিলীপবাবু নিজেও ২৫ মার্চ গদা হাতে রামনবমী পালন করবেন তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র খড়্গপুরে। তার আগের দিন ওই উপলক্ষেই তিনি মোটরবাইক মিছিল করবেন মেদিনীপুরে।
তৃণমূল অবশ্য দিলীপবাবুদের কর্মসূচিতে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রামকে নিয়ে ওঁদের ঘৃণ্য রাজনীতি করা হিন্দুত্বের পরিচয় নয়। আর রামনবমী কি ওঁদের একার? রামনবমীতে পুলিশ অনুমতি দেবে কি না, সেটাই বা ওঁরা আগে কী করে জানছেন? পুলিশকে অগ্রাহ্য করে কিছু করলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy