দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য মুকুল রায়-ঘনিষ্ঠ প্রদীপ ঘোষ এবং কলকাতা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপি ঘোষকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করল বিজেপি।
পুরভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই বাপিবাবু তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে চলেছেন। কলকাতা পুরসভায় তাঁকে তৃণমূলের কাউন্সিলরদের সঙ্গেই বসতে দেখা যায়। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেন, বাপিবাবু তাঁদের দলের প্রতীকে কলকাতা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হলেও মাত্র দু’-একটি দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। অথচ, অন্য দলের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখছেন। রাহুলবাবু আরও বলেন, ‘‘দেখলাম, বাপিবাবু বিজেপি-কে এবং নিজের ওয়ার্ডের মানুষদের ঠকাচ্ছেন। এই জন্যই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল।’’ বাপিবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমি এ বিষয়ে কোনও কাগজপত্র পাইনি। পেলে যা বলার, বলব।’’
এই পরিস্থিতিতে গোল বেধেছে পুরসভার অ্যাকাউন্টস কমিটির সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে। বাপিবাবু ওই কমিটির সদস্য হওয়ার জন্য বিজেপি-র পক্ষ থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন! পুরসভা সূত্রের খবর, শাসক দলের পরিকল্পনা ছিল, বাপিবাবুকে ওই কমিটির সদস্য করে দেখানো হবে, একটি পদ বিরোধী বিজেপি-কে দেওয়া হল। কিন্তু আদতে তা থেকে যাবে তৃণমূলেরই হাতে। কারণ বাপিবাবু অষোঘিত ভাবে তৃণমূলেরই লোক। কিন্তু এ দিন বিজেপি বাপিবাবুকে দল থেকে বহিষ্কার করায় ওই পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। সাধারণ ভাবে এই কমিটির চেয়ারম্যান হন বিরোধীদের কেউ।
আর প্রদীপবাবুকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে রাহুলবাবু বলেন, ‘‘অন্য রাজনৈতিক দল তৈরি হচ্ছে। দলের অনুমতি না নিয়ে প্রদীপবাবু সেখানে চলে যাচ্ছেন। সে জন্যই তাঁকে বিজেপি থেকে বহিষ্কার করা হল।’’ লোকসভা ভোটের পরে অন্য দল থেকে বিজেপি-তে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। ওই পর্বেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যান প্রদীপবাবু। কিন্তু পুরভোটের পর থেকেই তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়তে থাকে। মুকুলবাবুর নতুন দল গঠনের প্রক্রিয়াতেই প্রদীপবাবুর সক্রিয় ভূমিকা থাকছে বলে রাজনৈতিক শিবিরের খবর। বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে প্রদীপবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি খাতায়-কলমে বিজেপি-র কোনও পদেও নেই, সদস্যও নই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy