Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বাড়ি-গাড়ি হাঁকিয়ে বঙ্গে জাঁকিয়ে বিজেপি

বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের ১৭টি জেলায় দলীয় কার্যালয় গড়ার জন্য জমি বা বাড়ি সমেত জমি রেজিস্ট্রি করে ফেলেছে। এ রাজ্যে বিজেপি-র সাংগঠনিক জেলা ৩৫টি। তার প্রত্যেকটিতে একটি করে জেলা কার্যালয় গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।

রোশনী মুখোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:১৮
Share: Save:

নির্বাচনের পরীক্ষায় এখনও সফল ভাবে উত্তীর্ণ নয়। সংগঠনেও বেশ কিছু গাফিলতি রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চিহ্নিত করেছেন। এই অবস্থায় দলের বাড়ি এবং গাড়ি কেনার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ল বিজেপি।

ইতিমধ্যেই বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের ১৭টি জেলায় দলীয় কার্যালয় গড়ার জন্য জমি বা বাড়ি সমেত জমি রেজিস্ট্রি করে ফেলেছে। এ রাজ্যে বিজেপি-র সাংগঠনিক জেলা ৩৫টি। তার প্রত্যেকটিতে একটি করে জেলা কার্যালয় গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। বস্তুত, এই নির্দেশ রয়েছে দেশের সব ক’টি সাংগঠনিক জেলার ক্ষেত্রেই। প্রতিটি জেলা কার্যালয় গড়ার আর্থিক ব্যয়ভারও বহন করছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই। জেলা কার্যালয় গড়ার জন্য দ্রুত জমি কেনার কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন অমিত। কিন্তু এপ্রিল মাসে বঙ্গ সফরে এসে তিনি দেখেন, মাত্র দু’টি জেলায় জমি কেনা হয়েছে। তবে পাঁচ মাস পরে চলতি সেপ্টেম্বরে অমিতের কলকাতা সফরের আগেই ১৭টি জেলায় জমি কিনে ফেলে বিজেপি। রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দলের জমি-বাড়ি কেনার দায়িত্বে রয়েছেন সহ সভাপতি সুভাষ সরকার। ১৭টি জেলায় জমি কেনার কৃতিত্ব দল তাঁকেই দিচ্ছে।

আরও পড়ুন:দল ভাঙবে না, আশায় তৃণমূল

বিজেপি সূত্রের খবর, বালুরঘাট, বিষ্ণুপুর, বীরভূম, বর্ধমান, কোচবিহার, হুগলি, জগদ্দল, পশ্চিম মেদিনীপুর, তমলুক, উলুবেড়িয়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, কৃষ্ণনগর, বারুইপুর, শিলিগুড়ি, বসিরহাট এবং যশোহর রোডে ইতিমধ্যে জমি কেনা হয়ে গিয়েছে দলের জেলা কার্যালয়ের জন্য। এর মধ্যে বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বারুইপুরে জমির সঙ্গে বাড়িও কেনা হয়েছে। আরও ৯টি সাংগঠনিক জেলায় জমি চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে কেনার জন্য।

বিজেপি অবশ্য শুধু বাড়িতেই থেমে নেই। প্রতিটি সাংগঠনিক জেলায় একটি করে এসইউভি ধরনের গাড়ি কেনার পরিকল্পনাও করেছে তারা। যে সব জেলা গাড়ি কিনতে উদ্যোগী হয়েছে, তাদের কেন্দ্রীয় বিজেপি-র পক্ষ থেকে ছ’লক্ষ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। গাড়ির দাম বাবদ বাকি টাকা সংশ্লিষ্ট জেলা নেতৃত্বকেই জোগাড় করতে হবে। যাতে তাঁদেরও দায়বদ্ধতা থাকে।

বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘আগামী ৪০-৫০ বছর দল যাতে মজবুত ভাবে কাজ করতে পারে, তার জন্য চারটি বিষয়ে আমরা জোর দিচ্ছি। কর্মী, কার্যক্রম, কার্যালয় এবং কোষ। তারই অংশ হিসাবে জমি-বাড়ি এবং গাড়ি কেনা চলছে। এখনও পর্যন্ত পাঁচ-ছ’টি জেলায় গাড়ি কেনা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE