রামনবমী, হনুমান জয়ন্তীর পরে এ বার রথযাত্রা পালনেও রাজ্য জুড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে বিজেপি। কিছু দিন আগে রামনবমীর পাল্টা হনুমান জয়ন্তীর প্রস্তুতি নিতে অবশ্য কিছুটা হলেও দেরি হয়েছিল তৃণমূলের। এ বার রথের জন্য আগাম কোনও প্রস্তুতির কথা মুখে বলছে না তৃণমূল। তবে সব স্তরের নেতাকেই নিজের নিজের এলাকায় রথযাত্রায় সামিল হয়ে জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে দল।
রথের দিন বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতাদের যে যেখানে থাকবেন, সেখানেই তাঁদের রথযাত্রায় সামিল হতে দলীয় নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর। এখন বিজেপির নেতারা এ রাজ্যে বিস্তারক হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন। বিস্তার কর্মসূচির সঙ্গেই রথের রশিতে টান দিয়ে তাই জনসংযোগ আরও বাড়াতে চাইছে বিজেপিও। যে কারণে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ওই দিন রাজ্যের কোনও একটি বড় রথযাত্রায় হাজির থাকতে চাইছেন।
দিল্লিতে শনিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে যে ভাবে সমাজের উদ্যোগে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে রামনবমী, হনুমান জয়ন্তী পালিত হয়েছিল, সে ভাবেই রথযাত্রাও পালন করা হবে।’’ মুখে ‘সমাজে’র কথা বললেও আসলে আরএসএস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদই উদ্যোগী হচ্ছে গোটা আয়োজনের। আগামী ২৫ জুন রথ। পরের দিন ২৬ জুন ইদ হওয়ার সম্ভাবনা। পর পর দু’দিন এই দুই ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঘিরে আগাম প্রস্তুত থাকছে প্রশাসনও।
রথ উৎসবের পাশাপাশি রামমন্দির নির্মাণকে ঘিরে গোটা দেশেই হাওয়া তুলতে চাইছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ক’দিন আগেই সাধুদের ‘মার্গদর্শক মন্ডলের’ বৈঠক হয়েছে হরিদ্বারে। সেখানে স্থির হয়েছে, নভেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় দেওয়া হচ্ছে সংসদে আইন এনে রামমন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত করার। কারণ, আলোচনার প্রস্তাব সংখ্যালঘুরা খারিজ করে দিয়েছে। ততদিনেও না হলে নভেম্বরে উদুপিতে সাধুদের ধর্মসংসদের বৈঠকে পরবর্তী রণকৌশল স্থির হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy