নুর আলম মোমিন
ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হয় হায়দরাবাদে। ধুলিয়ান থেকে সেখানে গিয়ে জামাত-উল-মুজাহিদিন (জেএমবি) জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল নুর আলম মোমিন। জানুয়ারিতে বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামাকে হত্যার ছক কষেছিল জেএমবি।
ওই জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য নুরকে গ্রেফতার করে শুক্রবার ভোরে আদালতে তুলে এ কথা জানায় কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। তাদের আইনজীবী দাবি করেন, বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দলাইকে খুনের ষড়যন্ত্রে ছিল নুর। ওই বিস্ফোরক বুদ্ধগয়ায় পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগে পাঁচ নব্য জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরে এ রাজ্যে নব্য জেএমবি গঠনে নুরের সক্রিয় ভূমিকা আছে। তাকে ১০ দিন পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দেন ব্যাঙ্কশাল কোর্টের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারক স্মরজিৎ রায়।
নুর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে জানায়, সে নির্দোষ। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তাকে হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কোরান পড়ার জন্য।
সরকারি কৌঁসুলি তখন আদালতে জানান, ধৃত যুবক তো স্বীকারই করে নিল, সে হায়দরাবাদে গিয়েছিল।
এক এসটিএফ-কর্তা জানান, ২৪ বছরের নুর ধুলিয়ানের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কামাথপল্লির বাসিন্দা। তার বোরখা, স্কার্ফ, ওড়না, ঐস্লামিক ধর্মগ্রন্থ বিক্রির ব্যবসা রয়েছে নুরের। কাঁঠালপাতা কিনে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করত সে। তার বাবা মনসুর মোমিন বিড়ি কারখানায় কাজ করেন। ৫ নভেম্বর আদিল, পয়গম্বর, কালু, আব্দুল করিম (জুনিয়র), উমরের সঙ্গে নুর হায়দরাবাদে গিয়ে জেএমবি-র তাবড় নেতাদের সঙ্গে দেখা করে নুর। ১৫ দিন সেখানে থেকে তাদের সঙ্গে বুদ্ধগয়ার বিস্ফোরণের ছক কষে নুরেরা।
নুরের বাবা মনসুর বলেন, “ছেলে মুসলিম ধর্মগ্রন্থ, হিজাব ফেরি করে বেড়ায়। দেশবিরোধী কোনও খারাপ কাজে সে থাকতেই পারে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy