Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

জেলের সাজা বদলে বেকসুর খালাস

কৃষ্ণনগর রেল আবাসনে ২০০৯ সালে নিখিল বিশ্বাস নামে এক রেলকর্মীকে খুনের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত যুবক সমীর বারুই। পুরনো আক্রোশের জেরেই ওই ঘটনা বলে পুলিশ তখন জানিয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪২
Share: Save:

খুনের চেষ্টার দায়ে এক যুবককে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিল নদিয়া জেলা আদালত। ওই যুবককে বেকসুর মুক্তি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়।

পুলিশ জানিয়েছিল, কৃষ্ণনগর রেল আবাসনে ২০০৯ সালে নিখিল বিশ্বাস নামে এক রেলকর্মীকে খুনের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত যুবক সমীর বারুই। পুরনো আক্রোশের জেরেই ওই ঘটনা বলে পুলিশ তখন জানিয়েছিল। নিখিলবাবুর স্ত্রী মৌমিতার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হন সমীর। মাস তিনেক জেলে থেকে জামিন পেলেও ২০১২ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে নিম্ন আদালত। তাঁকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর পরে নিম্ন আদালতের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে আপিল করেন সমীর। আদালত তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। সমীরের আইনজীবী কল্লোল মণ্ডল হাইকোর্টে জানান— পুলিশি তদন্তের নথিতেই বলা হয়েছে, নিখিলবাবু নিজেই বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন সমীরকে। তিনিই প্রথমে সমীরকে মারধর শুরু করেন। তা দেখে এলাকার লোকজন নিখিলকে পাল্টা মারধর করেন। তাঁদের মারেই জখম হন রেলকর্মী নিখিল। সমীর এবং নিখিল দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অথচ নিখিলবাবুর বিরুদ্ধে পাল্টা এফআইআর দায়ের করেনি পুলিশ!

আইনজীবীর আরও বক্তব্য, মামলার নথিতে রয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণের সময়ে মৌমিতাদেবী পুলিশকে জানিয়েছিলেন, স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতা তাঁকে সমীরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে বলেছিলেন। ওই নেতাই প্রভাব খাটিয়ে নিখিলবাবুর বিরুদ্ধে
পুলিশের কাছে সমীরের পরিবারকে অভিযোগ জানাতে দেননি। তাই সমীরের বিরুদ্ধে নিখিলবাবুকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

সব শুনে সমীর বারুইকে বেকসুর মুক্তি দেন বিচারপতি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE