দু’বছর আগে কলকাতায় বিচারকের দেওয়া এক নির্দেশ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সিবিআই অফিসারেরা।
সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম ওঠা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েক জনকে চিহ্নিত করে তাঁদের জেরা করা হয়েছে। গ্রেফতারও হয়েছে। কিন্তু তালিকাটি দীর্ঘ বলে মনে করা হচ্ছে। কেন বাকিদের এখনও জেরা করা হয়নি তা নিয়ে ক্ষুব্ধ সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তারা।
সিবিআই সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের ৮ অগস্ট সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তৎকালীন ডিআইজি-কে এক নির্দেশে বলেছিলেন, সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের এজেন্টদের বৈঠকে কোন কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি সারদার প্রশংসা করে অর্থ লগ্নি সংস্থায় টাকা রাখার জন্য প্ররোচনা দিয়েছিলেন, কোন কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে সারদা-প্রধানের ঘনিষ্ঠতা ছিল, কোন কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি সারদার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন, সারদার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রচারের ফলে কোন কোন প্রভাবশালী লাভবান হন, সারদার কাছে কোন কোন আমলা ও পুলিশকর্তা উপকৃত হয়েছিলেন— তাঁদের জেরা করে কেস ডায়েরি-সহ বিষয়টি আদালতে পেশ করতে হবে। সিবিআইয়ের এক শীর্ষ কর্তার অভিযোগ, প্রায় দু’বছর পেরিয়ে গিয়েছে। বিচারকের নির্দেশ অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত সারদায় জড়িত অধিকাংশ রাঘববোয়ালকে জেরা করা হয়নি। সারদা তদন্তে যুক্ত অফিসারদের সম্প্রতি দিল্লিতে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন শীর্ষ কর্তারা। সেখানেই বিচারকের দু’বছরের পুরনো ওই নির্দেশ দ্রুত রূপায়ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশঙ্কা, ওই নির্দেশ বাস্তবায়িত করতে না-পারলে বিচারকের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হবে। এমনকি এই নিয়ে পরবর্তী কালে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সিবিআইয়ের কিছু কর্তার কথায়, প্রায় চার বছর ধরে সারদা-কাণ্ডের তদন্ত করা হচ্ছে। সুদীপ্ত এবং তাঁর সহযোগিনী দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সারদার মিডল্যান্ডের অফিসে বহু নেতা-মন্ত্রীর নিয়মিত যাতায়াত ছিল বলেও তদন্তে জানা গিয়েছে। কিন্তু বিশেষ আদালতের বিচারকের নির্দেশ অনুযায়ী অর্ধেক প্রভাবশালীকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করা হয়নি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy