Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

সারদাকাণ্ডে এ বার তৃণমূলের শঙ্কুদেব পণ্ডাকে ডাকল সিবিআই

তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক শঙ্কুদেব পণ্ডাকে ডেকে পাঠাল সিবিআই। সূত্রের খবর, আগামী শুক্রবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সকালে তাঁকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৫ ১৮:৫১
Share: Save:

তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক শঙ্কুদেব পণ্ডাকে ডেকে পাঠাল সিবিআই। সূত্রের খবর, আগামী শুক্রবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সকালে তাঁকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।

সারদার একটি সংবাদ চ্যানেলে এক সময়ে চাকরি করতেন শঙ্কু। সেখান থেকে নিয়মিত বেতন পেতেন। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু সারদা নয়, রোজ ভ্যালি সংস্থার সঙ্গেও শঙ্কুর জড়িত থাকার কিছু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এ সব নিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

সাংবাদিকতা দিয়ে শঙ্কুদেবের চাকরি জীবনের শুরু। ২০১১ সালের আগে নন্দীগ্রামে অশান্তির সময়ে নিয়মিত সেখানে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। নিজের বিধায়ক এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছিল নন্দীগ্রামের প্রাক্তন সিপিআই বিধায়ক মহম্মদ ইলিয়াসের বিরুদ্ধে। শঙ্কু সাংবাদিক হিসেবে ‘স্টিং অপারেশন’ করে সেই খবর প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছিলেন। তার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে উঠে আসে তাঁর নাম। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ২০০৯ সালে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি হিসেবে মমতা শঙ্কুর নাম ঘোষণা করেন। তারপর থেকেই ক্ষমতা বাড়ে তাঁর। যিনি কলেজে কখনও ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সে ভাবে জড়িত ছিলেন না, তাঁকে একেবারে ছাত্র পরিষদের সভাপতি করা নিয়ে তখন প্রশ্নও উঠেছিল।

সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন সংবাদ চ্যানেল শুরু করার পরে প্রথমে কুণাল ঘোষ তাঁর দায়িত্ব নেন। তখন শঙ্কুদেবও সেই চ্যানেলের কর্মী হিসেবে নিযুক্ত হন। সেই সময়ে তিনি পুরোদমে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সভাপতি হিসেবে কাজ করছিলেন। সেই সময়ে তিনি নিয়মিত সংবাদ চ্যানেলের গাড়ি ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ ওঠে। বেশ কিছুদিন সংবাদ চ্যানেলে কাজ করেন তিনি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি হিসেবে তাঁর ক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে গণ্ডগোলও শুরু হয়ে যায়। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে সেই গোলমাল ছড়িয়ে পড়ে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শঙ্কুর নেতৃত্বে ঘেরাও করে রাখেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। শঙ্কুর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগও ওঠে। এই ঘটনার পরেই দলের ছাত্র পরিষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

তবে, সেই পদ থেকে সরিয়ে তাঁকে তুলে আনা হয় দলের আরও উচ্চপদে। তাঁকে অন্যতম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়। এই মূহূর্তে তৃণমূলের নিজস্ব যে চ্যানেল তারও গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন শঙ্কু। সারদা নিয়ে সিবিআই তদন্তে উঠে আসে শঙ্কুর নাম। তিনি সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেও জানা যায়। রোজ ভ্যালি কর্তা গৌতম কুন্ডুর সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল এবং ওই সংস্থার সঙ্গেও তাঁর অর্থনৈতিক লেনদেন হয়েছিল বলে কিছু প্রমান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে বলে জানা গিয়েছে।

এ দিন শঙ্কুকে ফোন করলে বা মোবাইলে বার্তা পাঠালে তার জবাব পাওয়া যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

cbi call shanku dev ponda
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE