—ফাইল চিত্র।
কখনও গুপ্তযুগের বুদ্ধমূর্তি চুরি। কখনও অশোকের আমলের রামপূর্বা সিংহের মূর্তি বা খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের যক্ষমূর্তির পায়ের পাতা চুরমার। এমন নানা অভিযোগের জেরে বারবার বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছে যে প্রতিষ্ঠান, কলকাতার সেই ভারতীয় জাদুঘরে আচমকা হানা দিল সিবিআই। এবং সূত্রের ইঙ্গিত, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অভিযানে পুরাসামগ্রী পাচার-চক্রের হদিস মিলেছে জাদুঘরের অন্দরেই।
জাদুঘরে বিপুল টাকা নয়ছয় হচ্ছে— এই মর্মে অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ব্যুরোর গোয়েন্দারা আচমকা জাদুঘরে হাজির হয়েছিলেন। সূত্রের খবর: সিবিআই স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের সুপার পি কে পানিগ্রাহীর চিঠি নিয়ে ব্যুরোর দুই অফিসার এ বেলা বারোটা নাগাদ জাদুঘরে পৌঁছন। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু গোয়েন্দা ঢুকে পড়েন দর্শকের বেশে। জাদুঘরের আনাচে-কানাচে তল্লাশি চলে। জাদুঘরের কর্মী ও অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জাদুঘরের নিরাপত্তা অফিসার জয়দীপ দাস ও এডুকেশন অফিসার সায়ন মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা দিনভর সব ক’টি গ্যালারি ঘুরে দেখেন। ‘‘আগাম কাউকে কিছু জানানো হয়নি। এতে ভাল ফল পাওয়া গিয়েছে।’’— মন্তব্য করেছেন এক সিবিআই-কর্তা।
পর্যবেক্ষণ, তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ সেরে গোয়েন্দারা জাদুঘর ছেড়ে বেরোন রাত সাড়ে আটটায়। কলকাতা জাদুঘরের অধিকর্তা জয়ন্ত সেনগুপ্তের কথায়, ‘‘আমাদের আগে জানানো হয়নি যে, সিবিআই আসবে। ওঁরা মূলত ইনফর্মেশন কিয়স্কগুলো দেখতে এসেছিলেন। কোথায় ক’টা আছে, দেখে গিয়েছেন।’’
ঘটনা হল, বছর পাঁচেক আগে বিভিন্ন গ্যালারির জন্য কিয়স্ক কেনা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট গ্যালারিতে প্রদর্শিত বস্তু সম্পর্কে তথ্য মজুত রাখার জন্য। কিন্তু জাদুঘরের কর্মী-অফিসারদের একাংশের অভিযোগ, কিয়স্ক এলেও তার সব ক’টি গ্যালারিতে বসেনি। তা হলে সেগুলো কোথায় কী অবস্থায় রয়েছে, সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এ দিন খোঁজ-খবর নিয়েছেন। জাদুঘরের পূর্বতন অধিকর্তার জমানায় বিস্তর আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কেও তত্ত্ব-তালাশ করেছেন।
সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা এ দিন জাদুঘরের ওএসডি দেবাশিস মাইতির খোঁজ করেছিলেন। তবে তিনি ছিলেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy