—ফাইল চিত্র।
নারদ মামলায় ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে যে কাঁচা ভিডিও ফুটেজ সিবিআইয়ের হাতে এসেছে, সেখানকার অনেকগুলি বাক্য নিয়ে রীতিমতো গবেষণা শুরু হয়েছে বলে দাবি করছেন অফিসারেরা।
সিবিআই সূত্রের দাবি, ভিডিও ফুটেজে যে নেতা-মন্ত্রীদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের বাইরেও আরও লোক রয়েছেন যাঁরা এই বেআইনি লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত। কাঁচা ভিডিও ফুটেজে এবং অডিও-তে এমন অনেকের নাম পাওয়া গিয়েছে।
আবার ওই ফুটেজেরই কিছু বাক্য নিয়ে কাটাছেঁড়া করার সময়ে আরও এক সম্ভাবনা উঠে আসছে। সিবিআই সূত্রে বলা হচ্ছে, এমন অনেক বাক্য রয়েছে, যার ভিতরে লুকিয়ে রয়েছে অন্য অর্থ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্তাদের কথায়, এ রকম বেশ কিছু ‘দ্ব্যর্থবোধক’ বাক্য ইতিমধ্যেই আলাদা করে তুলে আনা হয়েছে। তাঁদের দাবি, ওই সমস্ত বাক্যে এমন কিছু নেতা-মন্ত্রীর নামের ইঙ্গিত রয়েছে, যাঁদের নাম এখনও পর্যন্ত ভিডিও-তে দেখা যায়নি, অডিও-তেও শোনা যায়নি।
কী রকম? সিবিআইয়ের এক অফিসারের কথায়, ‘‘এক নেতাকে বলতে দেখা গিয়েছে, ‘অমুক’কে গিয়ে টাকা দিন। তিনি হয়তো ‘অমুক’-এর নাম করলেও আসলে বলতে চেয়েছেন অন্য কোনও তৃতীয় ব্যক্তির কথা। ম্যাথু কিছু ক্ষেত্রে এই ইঙ্গিতগুলো বুঝে না-ও থাকতে পারেন।’’ তদন্তকারীরা কিন্তু ইঙ্গিতগুলি বোঝার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সেই কারণেই এক অফিসার জানিয়েছেন, ভিডিওতে হিন্দি ও বাংলায় বলা যে সমস্ত কথোপকথন রয়েছে, সেগুলিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করা হচ্ছে। হাইকোর্টে প্রাথমিক তদন্তের যে রিপোর্ট সিবিআই পেশ করতে চলেছে, তাতে প্রতিটি পর্যবেক্ষণের তলায় ‘আরও বিস্তারিত তদন্ত প্রয়োজন’ বলে নোট হিসেবে লিখে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
এক সপ্তাহ আগে সিবিআইয়ের হাতে নারদ মামলার তদন্তভার তুলে দিয়ে হাইকোর্ট জানিয়েছিল, প্রাথমিক তদন্তে যদি সিবিআই মনে করে যে বিস্তারিত তদন্তের প্রয়োজন, তখন মামলা করে সেই তদন্ত শুরু করতে পারে তারা। সিবিআই অফিসারদের দাবি, তদন্ত তো প্রয়োজনই এবং তাতে সময়ও লাগবে। আড়ালে থাকা যে চরিত্রগুলির কথা তাঁরা উল্লেখ করছেন, তাঁদের কাছে অল্প সময়ে পৌঁছনো যাবে না বলেই অফিসারদের ধারণা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy