সেনা প্রত্যাহার করা নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করে রাজ্য সরকার। —ফাইল চিত্র।
পাহাড় থেকে সাত কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও হাইকোর্টের নির্দেশে পিছু হটতে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। কিন্তু, দার্জিলিঙে যে ভাবে সিআরপিএফ-কে ব্যবহার করছে রাজ্য, তাতে যে তারা খুশি নয় তা বুধবার স্পষ্ট ভাষাতেই বুঝিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আলাদা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কিছু বলা না-হলেও সব রাজ্যকে পাঠানো বার্তায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মনে করিয়ে দিয়েছে যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে কেন্দ্রীয় বাহিনী কখনওই রাজ্য পুলিশের বিকল্প হতে পারে না। সীমান্ত রক্ষা বা দেশ-বিরোধী ঘটনা দমনের মতো জরুরি পরিস্থিতিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়। কেন্দ্রের বক্তব্য, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাহিনী আটকে রাখা অনুচিত। বাহিনী মোতায়েন পর্যালোচনার জন্য রাজ্যগুলিকে একটি কমিটি তৈরির পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্র।
রাজ্য পুলিশের বিকল্প হিসেবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে হচ্ছে, এই অভিযোগ অবশ্য মানতে নারাজ রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘ওরা বলেছে পাহাড়ে আমাদের নাকি পুলিশ কম ছিল! এই তথ্য সঠিক নয়। পাহাড়ে যথেষ্ট পুলিশকর্মী রয়েছেন।’’ রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মাও বলেন, ‘‘পাহাড়ে ২৬০০ পুলিশ আগে থেকেই কাজ করছিলেন। গণ্ডগোল শুরু হওয়ার পরে সমতল থেকে আরও দু’হাজার পুলিশ পাহাড়ে পাঠানো হয়েছে।’’
অনেকের মতে, পাহাড়ে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে মামলা ফের আদালতে শুনানির জন্য উঠলে তাদের তরফে যে সওয়াল করা হবে, তারই পথ প্রশস্ত করছে কেন্দ্র। সেই কারণেই শুধুমাত্র জরুরি পরিস্থিতিতে বাহিনী মোতায়েন রাখার কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কথা বলেই বাহিনী চেয়েছিল রাজ্য। এবং আদালতের নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তা দিতে বাধ্য হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy