নতুন বছরে রাজ্যের নতুন প্রতীকে অনুমোদন মিলেছে। পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলের প্রস্তাবে কিন্তু এখনও সবুজ সঙ্কেত দেয়নি কেন্দ্র। শুক্রবার নবান্নে রাজ্যের নতুন ‘এমব্লেম’ বা প্রতীকের উদ্বোধন করে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেই রাজ্যের নাম বদলাতে এবং নিজস্ব প্রতীক চালু করতে উদ্যোগী হন মমতা। দু’টিতেই কেন্দ্রের অনুমোদন লাগে। বুধবার সেই প্রতীক অনুমোদন করলেও নামবদল নিয়ে কেন্দ্র এখনও নীরব। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যের নাম পরিবর্তনের জন্যও কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ওরা যে-ভাবে জানাবে, সেই ভাবেই এগোব।’’
প্রতীক পেয়ে খুশি মুখ্যমন্ত্রী এ দিনের অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ৭০ বছর পরে রাজ্য নিজস্ব পরিচয় পেল।’’ শুরুতে মুখ্যসচিব মলয় দে জানান, রাজ্যের নিজস্ব প্রতীক না-থাকায় এত দিন জাতীয় প্রতীক দিয়েই কাজ চালানো হত। রাজ্যের নিজস্ব প্রতীকের জন্য কেন্দ্রের অনুমোদন লাগে। সেই অনুমোদন এসেছে। এ দিনই নতুন প্রতীকের সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ‘‘এই লোগোর সঙ্গে অশোকস্তম্ভ থাকায় পৃথক ভাবে তা ব্যবহার করতে হবে না,’’ বলেন মুখ্যসচিব।
মমতা বলেন, ‘‘এ বার থেকে সরকারি কাগজপত্র, ফাইল— সবেতেই নতুন প্রতীক ব্যবহার করা হবে। তবে সকলের কাছে পৌঁছতে একটু সময় লাগবে।’’ অতীতের সরকারগুলিকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যের নিজস্ব প্রতীক নেই দেখে নকশা তৈরির জন্য পৃথক কমিটি তৈরি করা হয়েছিল।’’
তার পরেই পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তনের প্রসঙ্গে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রের খবর, বিধানসভায় রাজ্যের নাম বদল নিয়ে যে-বিলটি পাশ হয়েছিল, তাতে প্রস্তাব ছিল, বাংলায় রাজ্যের নতুন নাম হবে ‘বাংলা’ আর ইংরেজিতে ‘বেঙ্গল’। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। রাজনাথ তাঁকে জানান, কেন্দ্র বাংলা ও ইংরেজিতে পৃথক নামকরণের পক্ষপাতী নয়। দু’টিতেই এক রকম নাম থাকা উচিত। তার পরে রাজ্য সরকার বাংলা ও ইংরেজি দু’টি ভাষাতেই রাজ্যের নতুন নাম ‘বাংলা’ করার সিদ্ধান্ত নেয়। রাজ্যের এই নতুন নামকরণের প্রস্তাব কেন্দ্রকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘‘কেন্দ্র সবুজ সঙ্কেত দিলেই রাজ্য সরকার এই বিষয়ে বিধানসভায় বিল আনবে,’’ বলেন প্রশাসনের এক কর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy