ফাইল চিত্র।
সপ্তাহখানেক আগেই বসন্তে বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়েছে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল। মাঝ-ফাল্গুনে আবার বজ্রের পূর্বাভাস দিচ্ছে হাওয়া অফিস! তারা জানিয়েছে, আজ, সোমবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে এই কাণ্ড ঘটাতে পারে। কলকাতার তুলনায় রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি।
২৫ ফেব্রুয়ারি রাতেই কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকাগুলিতে ঝড়বৃষ্টি হয়েছিল। তার পিছনেও হাত ছিল সাগর থেকে ঢুকে আসা জোলো হাওয়ার। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানী হাবিবুর রহমান বিশ্বাস রবিবার জানান, বঙ্গোপসাগরে একটি উচ্চচাপ বলয় রয়েছে। তার প্রতিক্রিয়ায় জলীয় বাষ্প ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গের পরিমণ্ডলে। একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা থাকায় সেই জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরির সম্ভাবনা বে়ড়েছে।
আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, ফাল্গুন শেষ হয়ে চৈত্র এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা বাড়ে। এ বার সেই সময় এখনও আসেনি। ঋতু পরিবর্তনের সময়ে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা কম থাকলেও অস্বাভাবিক নয়।
আবহবিজ্ঞানীদের একাংশের বক্তব্য, এই সময়ে বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তর দিয়ে ‘জেট স্ট্রিম’ বা জোরালো ঠান্ডা হাওয়া বইতে থাকে। নীচের স্তরে থাকা গরম জলীয় বাষ্প সেই ঠান্ডা হাওয়ার সঙ্গে মিশে ব়ড় মাপের মেঘপুঞ্জ তৈরি করে। এখনও গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে জেট স্ট্রিম বইছে এবং উল্টো দিক থেকে ক্রমাগত ঢুকে চলেছে জলীয় বাষ্প। এ দিন কলকাতায় সর্বাধিক আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে দক্ষিণবঙ্গের কপালে আরও ঝড়বৃষ্টি জুটতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy