তদন্ত: ভারতী ঘোষের স্বামী এমএভি রাজুকে (কমলা জামা) নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার একটি ব্যাঙ্কে সিআইডি। মঙ্গলবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
দক্ষিণ কলকাতার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের দু’টি লকার থেকে মঙ্গলবার ১১০০ গ্রাম সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে সিআইডি।
তবে ভারতীর কৌঁসুলি পিনাকী ভট্টাচার্যের দাবি, ওই লকারের গয়না ভারতী এবং তাঁর স্বামীর পৈতৃক সূত্রে পাওয়া। ওই দু’টি লকারে ১৯৯৪ এবং ২০১৭ সালে গয়না রাখা হয়েছিল। ভারতী বলেন, ‘‘ঘাটাল মহকুমা আদালত আমার লকারে তল্লাশির অনুমতি দিয়েছে। লকারের সব গয়না বেআইনি ভাবে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শাসক দলের চাপে পড়ে সিআইডি এখন লুঠ শুরু করেছে।’’
সিআইডি সূত্রের খবর, কিছু গয়নায় হলমার্ক রয়েছে। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া পুরনো গয়নায় কী ভাবে ওই চিহ্ন এল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভারতীর বক্তব্য, ২০০০ সালে হলমার্ক চালু হয়। ২০১৭ সালে কিছু গয়না ওই লকারে রাখা হয়েছিল। কিছু গয়নায় হলমার্ক থাকতেই পারে। ‘‘কিন্তু বাজেয়াপ্ত করার ব্যাপারে আদালতের কোনও নির্দেশ নেই। তা হলে সিআইডি গয়না বাজেয়াপ্ত করল কী ভাবে,’’ প্রশ্ন ভারতীর। এক গোয়েন্দাকর্তার কথায়, ‘‘আদালতের নির্দেশ অনুসারেই তদন্ত হচ্ছে এবং গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।’’
সিআইডি সূত্রের খবর, ওই ব্যাঙ্কে ভারতীদের দু’টি লকার ছিল। ভারতী ভিন্ রাজ্যে রয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী তাঁর স্বামীর উপস্থিতিতে গোয়েন্দারা দু’টি লকার খোলেন। এ দিন সকাল থেকে ভারতীর স্বামী এমএভি রাজুকে কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। দুপুরে রাজুকে ব্যাঙ্কে নিয়ে গিয়ে ওই লকার খোলা হয়।
ঘাটাল মহকুমা আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনা প্রতারণা মামলায় ধৃত দাসপুর থানার প্রাক্তন ওসি প্রদীপ রথকে ছ’দিন সিআইডি-র হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। প্রদীপকে সোমবার গ্রেফতার করে সিআইডি। এ দিন তাঁকে ঘাটাল আদালতে তোলা হয়। ওই মামলাতেই ধৃত ঘাটাল থানার প্রাক্তন ওসি চিত্ত পাল এবং সিআই শুভঙ্কর দে-কে আজ, বুধবার ঘাটাল আদালতে তুলবে সিআইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy