অনির্দিষ্টকাল বন্ধের জেরে উদ্বেগে পাহাড়ের শিক্ষামহল। তার উপরে সেখানকার স্কুল থেকে ছেলেমেয়েদের নামিয়ে এনে সমতলের স্কুলে ভর্তি করাচ্ছেন বেশ কয়েক জন অভিভাবক। এই পরিস্থিতিতে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাশ সমতলে আনার ব্যবস্থা করছে দার্জিলিঙের দুটি স্কুল।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, দার্জিলিঙের দু’টি নামকরা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পরিচালন কর্তৃপক্ষ শুক্রবার থেকে অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানাতে শুরু করেছেন। তবে কবে থেকে এবং কোথায় ক্লাস শুরু হবে, তা জানানো হয়নি। পাহাড়ে অনির্দিষ্টকালের বন্ধ শুরু হওয়ার পরে ছাত্রছাত্রীদের নীচে নামিয়ে দেওয়া হয়। তারা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দা। কেউ কেউ এসেছেন বাইরে থেকেও। কিন্তু যাঁরা পাহাড়ের বাসিন্দা? তেমনই কয়েক জন অভিভাবক জানান, ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনে সমতলেই ক্লাস করতে হবে। যদিও ওই দুটি স্কুলের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। কয়েক দিনের মধ্যেই নোটিস দেওয়া হবে। পড়াশোনার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগে প্রশাসনও। সম্প্রতি দার্জিলিঙের জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্তের দফতরে মোর্চা একটি স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিল। তখন জয়সীও তাদের পাল্টা স্মারকলিপি দিতে চান। তার প্রথমেই ছিল পাহাড়ের পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আন্দোলন থেকে সরার কথা।
আরও পড়ুন: জাদুঘরে আপনার অপেক্ষায় বুদ্ধের দাঁত
জেলাশাসক এ দিনও একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। সেখানে বলা হয়েছে, পাহাড়ে অনশনকারীদের কাছে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছতে দিতে হবে এবং তাঁদের সেই পরিষেবা নিতে হবে। না হলে তা পরে আত্মহত্যা বা খুনের সামিল বলে ধরা হতে পারে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘আমি অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওঁরা বলেছেন, কারও কিছু হলে দেহ নিয়ে মিছিল করবে। এই ধরনের আন্দোলন কাম্য নয়।’’ এরই মধ্যে পাঁচ দিন শান্ত থাকার পর ফের আগুন জ্বলেছে পাহাড়ে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সোনাদার নীচে একটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস এবং তিনধারিয়ায় রাজস্ব আধিকারিকের অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মোর্চা অবশ্য এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy