ঠিক এক বছর তিন দিন আগের ঘটনা। ভোটের মুখে নারদ কাণ্ড ফাঁস হতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে দিন অভিযোগ করেছিলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে রাজনীতিতে এঁটে উঠতে না পেরে কুৎসা করছেন বিরোধীরা। শুক্রবার নারদ ঘুষ কাণ্ডে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরে সেই একই অবস্থান নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মোদ্দা বার্তা— তিনি ও তাঁর দল আক্রান্ত।
এ দিন রায় ঘোষণার কিছু পরেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তৃণমূলের পাশাপাশি তাঁর সরকারও সর্বোচ্চ আদালতে যাবে। কিন্তু এর পরেই তিনি ইঙ্গিত করেন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের দিকে। বলেন, ‘‘স্টিং অপারেশন প্রথমে বিজেপি অফিসে দেখানো হয়েছিল। তার পর আদালত রায় ঘোষণার আগেই তো এখানকার বিজেপি সভাপতি রায় জানিয়ে দিচ্ছিলেন। বলছিলেন, উত্তরপ্রদেশের ফল ঘোষণার পরেই আদালতে নারদ মামলা উঠবে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হবে।’’ মমতার কথায়, ‘‘ওঁর কথাই তো মিলে গিয়েছে দেখছি। সত্যিই তো এত দিন আদালতে কিছু হয়নি। আজ হল! এমনও হতে পারে!’’
আরও পড়ুন: ছবি খাঁটি, নারদে সিবিআই
যদিও সাংবাদিক বৈঠকে তেমন রণং দেহি মূর্তিতে দেখা যায়নি মমতাকে। যা তাৎপর্যপূর্ণ মনে হচ্ছে অনেকের। তা ছাড়া তাঁর কথাগুলি যে দলকে বরাভয় দিতে পেরেছে, নেতাদের একাংশের সঙ্গে কথা বলে এমন ইঙ্গিতও মেলেনি। উল্টে মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা বিঁধে বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ বলেছেন, ‘‘উনি যে নারদ কাণ্ডের তদন্তই করাতে চাননি তা ওঁর কথাতেই পরিষ্কার। আদালত শুধু সরকারকে ভর্ৎসনা করেনি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও নিন্দা করেছে। কারণ, পুলিশমন্ত্রী হয়ে উনিই তদন্ত আটকে রেখেছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy