এত দিন মুখ্যমন্ত্রীই চড়তেন সেটি। এ বার রাজ্যের শীর্ষ আমলাদের জন্যও বরাদ্দ হল হেলিকপ্টার। নবান্ন সূত্রের খবর, শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জেলার প্রশাসনিক বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের রাজ্যের ভা়ড়া নেওয়া হেলিকপ্টার ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাম আমলে অশান্ত জঙ্গলমহলে পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের হেলিকপ্টারে যেতে দেখা যেত। বছর চারেক আগে এক বার সরকারি তরফে আমলাদের এ ব্যাপারে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও শীর্ষ আমলাকে হেলিকপ্টার চড়তে দেখা যায়নি। সড়কপথে বা ট্রেনে চেপেই তাঁরা দূরবর্তী জেলায় যেতেন। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ায় সেই রীতি বদলাতে পারে।
কাল, সোমবারও বাসে চেপেই জেলা সফরে যাচ্ছেন আমলারা। নবান্নের খবর, হেলিকপ্টারের ক্ষেত্রে প্রথম সুযোগ পাবেন মুখ্যমন্ত্রীই। তিনি না গেলে জেলা সফরে আমলারা উড়ে যেতে পারবেন।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে প্রশাসনের শীর্ষকর্তা অর্থাৎ মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ দফতরের শীর্ষতম আমলাদের হেলিকপ্টার ব্যবহারের অনুমতি নিয়ে চর্চাও শুরু হয়েছে নবান্নের অন্দরে। কেন এমন অনুমতি দেওয়া হল তা নিয়ে শোনা যাচ্ছে নানা মুনির নানা মত।
আমলাদের একটি অংশ জানান, প্রতি মাসে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ভাড়াতে ৪০ ঘণ্টার জন্য কপ্টার ব্যবহার করতে পারে সরকার। কিন্তু ৪০ ঘণ্টা কপ্টার চড়েন না মুখ্যমন্ত্রী। খরচ যাতে পুরোপরি উসুল হয় তাই এই নয়া নির্দেশ। শুধুই কি তাই?
অনেকে বলছেন, ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল স্তরে নাগরিকেরা পরিষেবা পাচ্ছেন কি না সেটা দেখার জন্য জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি আলাদা নজরদারি ব্যবস্থা চালু করার কথা জানিয়েছেন। সেই নজরদারিতে জেলায় জেলায় শীর্ষ কর্তাদের পাঠানোর কাজে পাঠানোর জন্যই হেলিকপ্টার বরাদ্দ করা হচ্ছে।
নবান্নের এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের আগে কপ্টার ব্যবহার করলে কম সময়ে বহু জেলায় যাওয়া যাবে।’’ দীর্ঘপথ সড়কে যাত্রা করা এমনিই ক্লান্তিকর। যেমন কাল, সোমবার বাসে করে আমলারা কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদ পৌঁছবেন। সেখান থেকে মালদহে যাবেন তাঁরা। তার পরে রায়গঞ্জ। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশের পরে ভবিষ্যতে এই ক্লান্তি পোহাতে হবে না বলেই আশা করছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy