তৃণমূলের হাতে মার না খেয়ে পাল্টা মারের নিদান দিয়ে গিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সর্বভারতীয় সভাপতির বাতলে যাওয়া প্রতিরোধের রাজনীতির প্রথম বলি হলেন ঝাড়গ্রামের এক বিজেপি কর্মী। যদিও বিজেপির দাবি, প্রতিরোধ নয়, তৃণমূলের একতরফা নৃশংস হামলার জেরেই প্রাণ গিয়েছে দলীয় কর্মীর। তৃণমূল বলছে, ব্যক্তিগত আক্রোশে খুনোখুনি হতে পারে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
শুধু ঝাড়গ্রাম নয় মন্তেশ্বরেও এক বিজেপির কর্মী শাসক দলের হাতে খুন হয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ। প্রশাসন সূত্রের খবর, দিন চারেক আগে ঝাড়গ্রামে বিজেপির এক মিছিলে হামলা চালিয়েছিল তৃণমূল। বিজেপির মিছিলে লোকসংখ্যা বেশি থাকায় পাল্টা হামলা চালায় তারাও। দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙা হয়। সেই মিছিল ফেরার পথে শাসক দলের কর্মীরা বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তখনই মাতাল দিগর নামে এক কর্মী গুরুতর আহত হন। বুধবার এসএসকেএমে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রতিরোধের রাজনীতির তিনিই প্রথম বলি বলে দলের একাংশের দাবি।
এ দিন মন্তেশ্বরেও পড়শির সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান স্থানীয় বিজেপির এক বুথ সভাপতি। পরে তৃণমূল সমর্থক ওই পড়শির সঙ্গে সংঘর্ষে ওই বুথ সভাপতি নিহত হন বলে বিজেপির অভিযোগ। দিলীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘রাজ্যে বিজেপি বাড়ছে। তা মোকাবিলা করতে না পেরে তৃণমূল আমাদের কর্মীদের খুন করছে।’’ দিলীপবাবুর এই অভিযোগ উড়িয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘রাজ্যে বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই। কোনও রাজনৈতিক খুন হয়েছে বলে আমার জানা নেই। অসমাজিক কাজে জড়িয়ে ওদের কর্মীদের মৃত্যু হলেও তার দায় তৃণমূলের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।’’
দিন কয়েক আগে কলকাতা সফরে এসেছিলেন অমিত শাহ। শাসক দলের সন্ত্রাসের খুন-জখম হওয়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দলীয় বৈঠকেও লার নেতারা সভাপতির সামনে তৃণমূলের সন্ত্রাসের কথা বলতে থাকেন। যা শুনে সভাপতি প্রতিরোধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। অমিত ফেরত যাওয়ার পরেই প্রথম প্রতিরোধেই প্রাণ গেল এক কর্মীর। সেই গ্রামে আবার সমাবেশের ডাক দিয়েছে দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy