প্রতীকী ছবি।
সড়ক সম্প্রসারণে জমি বড় সমস্যা তো বটেই। রেলসেতুর বিভিন্ন প্রকল্পেও জমি-সঙ্কট অন্যতম অন্তরায়। কেন্দ্র টাকা মঞ্জুর করা সত্ত্বেও জমি-জটের জন্য রাজ্যে ন’টি রেলসেতুর কাজ শুরু করা যায়নি।
সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় লাইনের উপরে ২০টি সেতু তৈরির অনুমোদন দিয়েছে রেল মন্ত্রক। সেগুলির দৈর্ঘ্য হবে এক থেকে দেড় কিলোমিটার। ওই সব রেলসেতুর জন্য ইতিমধ্যেই ২২০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলির মধ্যে উত্তরবঙ্গের সেবকের উপরে একটি সেতুও আছে। বন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে ওই সেতু নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে রেল। রাজ্যের পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, সেবক ছাড়া অন্য ১৯টি রেলসেতুর দরপত্র ডাকা হয়েছে। তার মধ্যে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ১০টি সেতুর। ন’টি রেলসেতুর কাজ আটকে আছে জমি-সমস্যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সেতুর জন্য জমি লাগবে সামান্যই। কিন্তু তারই অভাবে আটকে আছে ভেদিয়া, কদমদিয়া, তালিত, কাজিপাড়া, অশোকনগর, হাবড়া-১, হাবড়া-২ বনগাঁ এবং লাটাগুড়ির রেলসেতু।
পূর্ত দফতরের খবর, সরকারি নিয়ম মেনেই টাকা দিয়ে মালিকদের কাছ থেকে জমি কেনা হচ্ছে।
ন’টি রেলসেতুর ক্ষেত্রে জমির সমস্যা কতটা? রাজ্যের পূর্ত দফতরের এক কর্তা বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই ৯০ শতাংশ জমির সমস্যা মিটেছে। রেল সূত্রের খবর, রাজ্যের পূর্ত দফতরের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই সেই সমস্যা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে।
যে-দশটি রেলসেতুর কাজ শুরু হয়েছে, সেগুলি হল কুবাই, বিষ্ণুপুর, মেজিয়া, তাপসি, পাণ্ডবেশ্বর, সিউড়ি, ভীমগড়, ওদলাবাড়ি, ময়নাগুড়ি ও মালবাজার। ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে সেগুলির কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে পূর্ত দফতর।
তবে মঞ্জুর-তালিকায় বারাসতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে প্রস্তাবিত রেলসেতুটি না-থাকায় পূর্ত দফতর বিস্মিত। পূর্ত দফতরের এক কর্তা বলেন, ওই সড়কে সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এই অবস্থায় বারাসতের রেলসেতুটির খুব প্রয়োজন ছিল। রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর, ওই রেলসেতুর ক্ষেত্রে জমির সমস্যা বেশ জটিল। সেখানে প্রয়োজনীয় সব জমি পাওয়া যাবেই, এমন নিশ্চয়তা মেলেনি। সেই আশ্বাস পাওয়া গেলে ওই রেলসেতুটিও মঞ্জুর করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy