ছবি: সংগৃহীত।
রবিবার কলকাতার লর্ডসের মোড়ে সভা করতে চান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নিয়ম মেনে দল অনুমতি চেয়েছে পুরসভার। কিন্তু তৃণমুল পরিচালিত পুরসভার অফিসার-ইঞ্জিনিয়াররা দিশাহারা সেই অনুমতি দেওয়া নিয়ে।
২১ জুলাই তারিখের পাঠানো চিঠি শনিবার পুরসভার কর্তাদের গোচরে আসতেই অস্বস্তিতে তাঁরা। পুরসভা সূত্রের খবর, প্রথাগত ভাবে অনুমতি দেওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে অনুমতি দিলে ‘কর্তারা’ কী ভাবে নেবেন তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট পুরকর্তারা। ফলে সমস্যায় পড়েছেন অফিসাররা। ব্যাপারটি নিয়ে এমনই ঘোঁট পাকায় যে অনুমতি দেওয়ার দায় এড়াতে শনিবার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অফিস ছেড়ে চলে যান সংশ্লিষ্ট পদস্থ কর্তারা।
মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘এ সব আমার দেখার কথা না। আমি জানিও না।’’ যাঁর সভা ঘিরে এত বিতর্ক সেই দিলীপবাবু এ দিন বলেন, ‘‘সভা হবে কি হবে না তা পরের ব্যাপার। পুরসভার অফিসারদের অবস্থা দেখে আমার কষ্ট হচ্ছে। বেচারারা অনুমতি দিলে মুখ্যমন্ত্রী ধরবেন, না দিলে আমরা ধরব।’’
এর আগে ধর্মতলায় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে (২১ জুলাইয়ের সমাবেশ স্থলে) বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে নিয়ে একটি সভার অনুমতি দেওয়া নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। পুরসভা অনুমতি না দেওয়ায় পরে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। আদালতের অনুমতি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সেই সভা হয়েছিল।
শুক্রবার ২১ জুলাই তৃণমূলের সমাবেশ মঞ্চ থেকে বিজেপিকে এক হাত নিয়েছেন দলনেত্রী। নারদকাণ্ডে পেছন থেকে বিজেপির কলকাঠি নাড়া নিয়ে একাধিক বার সরব হয়েছেন কলকাতার মেয়রসহ একাধিক মন্ত্রীও। সূত্রের খহর, এ সবের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির পথসভার অনুমতি দেওয়া নিয়ে বেশ ‘চাপে’ রয়েছেন পুরকর্তারাও। পাছে বিজেপির পক্ষ থেকে কেউ সরাসরি পুর অফিসে চলে আসেন, এই আশঙ্কায় শনিবার একটু আগেভাগেই পুরসভা ছেড়ে চলে যান প্রায় সব প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘‘অনুমতি দিলে উপর থেকে চাপ আসতে পারে।
তাই কেটে পড়া সঠিক বলে মনে করেছেন তাঁরা।’’
বিজেপি সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী মণ্ডল-৩ এর সভাপতি উদয়চন্দ্র ঝা পুর প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান। তাতে লেখা হয়, লর্ডস বেকারির মোড়ে রবিবার বিকেল ৪ টে থেকে পথসভা করতে চান তারা। আর তা প্রচলিত শব্দবিধি মেনেই। এ দিন সেই পথসভার অনুমতি মিলেছে কি না জানতে চাইলে সভাপতি উদয়বাবু বলেন, ‘‘পুরসভা, যাদবপুর থানার পুলিশ এবং দক্ষিণ শহরতলির ডিসিকে জানিয়েছি। পুরসভা বা পুলিশ কারও কাছ থেকে এখনও কোনও জবাব আসেনি। সরকার বা প্রশাসন যে বিরোধিতা করবে তা ধরে নিয়েই চলি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy