দু’দিন আগে দলের সাংগঠনিক নির্বাচন-মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন শীঘ্রই দলের ওয়ার্কিং কমিটি গড়ে দেবেন তিনি। এ জন্য ২৯ এপ্রিল কোর কমিটির বৈঠকও ডেকেছিলেন মমতা। হঠাৎ সেই বৈঠক পিছিয়ে করে দেওয়া হয়েছে ৬ মে। সামনে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও সফরসূচি না থাকা সত্ত্বেও কেন বৈঠক পিছোল, তা নিয়েই শাসক শিবিরে শুরু হয়েছে জল্পনা।
সংগঠনে রদবদলের পাশাপাশি মন্ত্রিসভাতেও পরিবর্তন আসন্ন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং উজ্জ্বল বিশ্বাসকে মন্ত্রিসভায় আনতে চান মমতা। তার জন্য ইতিমধ্যে রাজভবনে সময় চেয়ে রাখা হয়েছে। এর মধ্যেই দলীয় বৈঠক পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে দলে। দলের একাংশের বক্তব্য, ষড়যন্ত্র করে এগোচ্ছে বিজেপি। এর আগে দিলীপ ঘোষেরা সিবিআইয়ের আঞ্চলিক দফতর অভিযান করার পরেই নারদ-কাণ্ডে এফআইআর দায়ের হয়েছিল তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের নামে। এখন রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। তার পরেই আরও কিছু ‘পরিকল্পনা’ বিজেপির থাকতে পারে বলে তৃণমূলে আশঙ্কা। হতে পারে পরিস্থিতি মাপতেই সময় নিতে চাইছেন মমতা।
শাসক শিবিরের অন্দরের খবর, নারদ-কাণ্ডে দলের কিছু নেতাকে যে গ্রেফতার হতে পারে, তা তৃণমূল নেত্রীর অজানা নয়। তার জন্য তিনি খুব বেশি বিচলিতও নন। তিনি মনে করেন, ব্যক্তিগত স্তরে দুর্নীতির দায়ে কাউকে কাউকে যদি জেলে যেতেও হয়, তাঁদের বিকল্প তাঁর হাতে আছে। মমতা বরং চিন্তিত রাজ্যে বিজেপির মেরুকরণের চেষ্টা নিয়ে। রামনবমী এবং দক্ষিণ কাঁথির উপনির্বাচনের পরে বিজেপি শিবির যে ভাবে তৎপর হয়েছে, তার মোকাবিলায় ভেবেচিন্তেই পা ফেলতে চান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy