Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বুরে দিন ওয়াপস দো, পথে বামেরা

কার্ল মার্কসের জন্মের দ্বিশতবর্ষ উপলক্ষে আলোচনাচক্রে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন সিপিএমের প্রাক্তন ও বর্তমান দুই সাধারণ সম্পাদক।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:৪৪
Share: Save:

বিজেপি বড় শত্রু না কংগ্রেস, এই অন্তহীন বিতর্কে মজে রয়েছে দল! রণকৌশল সংক্রান্ত ওই চর্চায় ডুবে না থেকে রাস্তায় নেমে গণআন্দোলন গড়ে তোলার দিকেই তাঁরা আপাতত নজর দিতে চাইছেন বলে বুঝিয়ে দিলেন সিপিএমের দুই শীর্ষ নেতা সীতারাম ইয়েচুরি ও প্রকাশ কারাট। বাম দলগুলির আহ্বানে পটনায় মঙ্গলবার ‘আক্রোশ সমাবেশে’ জনতার সাড়া তাঁদের উৎসাহ বাড়িয়েছে বলেই মন্তব্য ইয়েচুরির।

কার্ল মার্কসের জন্মের দ্বিশতবর্ষ উপলক্ষে আলোচনাচক্রে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন সিপিএমের প্রাক্তন ও বর্তমান দুই সাধারণ সম্পাদক। মার্কসের ব্যাখ্যা অনুযায়ী পুঁজি ও তার এখনকার চেহারা নিয়ে বক্তৃতা করেন কারাট। আর ইয়েচুরি ব্যাখ্যা করেন নভেম্বর বিপ্লবের তাৎপর্য। তাত্ত্বিক বক্তৃতার পরে দু’জনকেই দলের প্রতিনিধিদের তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বর্তমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির মোকাবিলায় সিপিএম কী কৌশল নেবে? ইয়েচুরি বলেন, এখনকার পরিস্থিতি মোকাবিলার কৌশল নিয়ে আসন্ন পার্টি কংগ্রেসেই আলোচনা হবে। আর কারাট জানান, খস়ড়া রাজনৈতিক দলিল তৈরির কাজ চলছে। কিছু দিন পরেই কর্মীরা দলের অভিমুখ জানতে পারবেন।

পার্টি কংগ্রেসের আগে আর এই কৌশল সংক্রান্ত বিতর্কে তাঁরা যে ঢুকতে চাইছেন না, তা-ই এ দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন সিপিএমের পলিটব্যুরোর দুই শীর্ষ নেতা। পার্টি লাইনের বিষয়েই আবার পলিটব্যুরোর বৈঠক ডাকা রয়েছে ২ অক্টোবর। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও ইয়েচুরি ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কংগ্রেসের নীতি ও দুর্বলতার জন্যই বিজেপি-র উত্থান হয়েছে। আবার বিজেপি-র জমানায় এখন অর্থনীতির অগ্রগতি স্তব্ধ। কাজ নেই, পেট্রোপণ্য-সহ জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে, কৃষকদের ঋণ লাঘবের নামে তামাশা করা হচ্ছে। ইয়েচুরির কথায়, ‘‘লোকে বলতে শুরু করেছে, মোদীজি বুরে দিন ওয়াপস দো! মোদী সরকারের দিন গোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ভোট থেকেই তরুণ প্রজন্মের মনোভাব বোঝা যাচ্ছে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এই লড়াই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’’

সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক এ দিন বলেছেন, বিজেপি-র হাতে অর্থনীতির বেহাল দশা এবং সেইসঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে তাঁরা সর্বতো ভাবে পথে নেমেছেন। বাম দলগুলির তরফে সভা-সমাবেশ করে মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা হচ্ছে। কৃষক সভা এবং শ্রমিক সংগঠনও নিজস্ব কর্মসূচি নিচ্ছে। ইয়েচুরি বলেন, ‘‘অন্যান্য অনেক দলও প্রতিবাদে সামিল হতে চায়। নানা প্রস্তাব আছে, আলোচনা চলছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের দুর্দশার প্রতিবাদে সংগ্রামের সামনের সারিতেই আমরা আছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE