চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই-খুন তো আছেই। এখন রাজ্যে সাইবার মামলার সংখ্যাও উত্তরোত্তর বাড়ছে। কিন্তু সেই মামলা ল়ড়ার মতো পর্যাপ্ত দক্ষ সরকারি কৌঁসুলি কোথায়? কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির পরামর্শ, আগামী দশকে সাইবার মামলার সংখ্যা বহু গুণ বাড়বে। পরিস্থিতি সামলাতে তাই এখনই সাইবার আইন বিশেষজ্ঞ সরকারি কৌঁসুলিদের একটি দল তৈরি করা প্রয়োজন। সম্প্রতি একটি মামলার শুনানির সময় পাবলিক প্রসিকিউটর শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বিচারপতি ওই কথা বলেছেন।
জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)-র তথ্য বলছে, ২০১৫ সালে গোটা দেশে সাইবার অপরাধের সংখ্যা ২০১৪ সালের তুলনায় প্রায় ২০% বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ১২.১%। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মত, দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়বে, ততই সাইবার অপরাধের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা। পুলিশ ও আইনজীবীদের বক্তব্য, স্মার্টফোন, ই-মেলের ব্যবহার বাড়ায় খুন, ডাকাতি, প্রতারণার মামলাতেও তথ্য প্রমাণ হিসেবে সাইবার সংক্রান্ত নথি পেশ করতে হচ্ছে। এখন মামলার সওয়াল-জবাবে সাইবারের জ্ঞান প্রয়োজনীয় হয়ে উঠছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন দক্ষ সাইবার কৌঁসুলিদের দল তৈরি করতে সক্রিয় হয়েছে। রাজ্যের সাইবার মামলার বিশেষ কৌঁসুলি বিভাস চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘সাইবার কৌঁসুলিদের একটি প্যানেল তৈরি করে তা নিয়ে রাজ্যের লিগ্যাল রিমেমব্রান্সের সঙ্গে বৈঠক হবে।’’ তাঁর মতে, ‘‘সাইবার মামলার জন্য মূলত এই প্রজন্মের আইনজীবীরাই আদর্শ। কারণ, এই ধরনের মামলায় আইনের পাশাপাশি প্রযুক্তির পাঠও থাকা খুবই জরুরি।’’ এ ক্ষেত্রে জেলাগুলিতে সরকারি কৌঁসুলিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সাইবার মামলায় দক্ষ করে তোলা যেতে পারে।
তবে আইনজীবীদের অনেকে এ-ও বলছেন, শুধু কৌঁসুলি নয়, সাইবার অপরাধ সামলাতে দক্ষ তদন্তকারী অফিসারও জরুরি। সম্প্রতি রাজ্যের প্রতিটি জেলায় পুলিশের ‘সাইবার শাখা’ গড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রের খবর। প্রশাসনের দাবি, এর পাশাপাশি পুলিশ অফিসারদের সাইবার অপরাধ এবং প্রযুক্তি নিয়ে নিয়মিত পাঠও দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy