বিদায়: কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিজনরা। নিজস্ব চিত্র
অপমৃ্ত্যুর তিন দিন পরে বিহার থেকে এ রাজ্যে ফিরল তিন যুবকের কফিনবন্দি দেহ। শনিবার সকালে তারকেশ্বরে পৌঁছয় সেখানকার বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ জানা এবং অভিমন্যু বেরার দেহ আসে। বর্ধমানের জামালপুরের পাইকপাড়া গ্রামে আসে উদয় দাসের দেহ। পটনার পাটলিপুত্র থানা যাতে যথাযথ তদন্ত করে, সে ব্যাপারে তারকেশ্বর থানায় আবেদন জানান ইন্দ্রজিৎ ও অভিমন্যুর পরিবারের লোকেরা।
পাটলিপুত্র থানায় ইতিমধ্যেই ওই তিন জনকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁদের পরিবারের লোকেরা। পটনার এসএসপি মনু মহারাজ আগেই জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে বিস্তারিত বলা যাবে। সমস্ত দিক মাথায় রেখেই তদন্ত হচ্ছে। মৃতদের পরিবারকে সব রকম ভাবে সাহায্য করা হচ্ছে।
ইন্দ্রজিৎ, অভিমন্যু এবং উদয় গত ২১ জানুয়ারি পাটলিপুত্র থানা এলাকার সাইবার মোড় সংলগ্ন একটি নির্মীয়মাণ ডেয়ারির কোল্ড স্টোরেজের কাজ করতে পটনায় যান। ডেয়ারিতেই তাঁরা থাকতেন। গত সোমবার রাত থেকেই ওই তিন জনের মোবাইল বন্ধ ছিল। বুধবার রাতে পটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁদের মৃত অবস্থায় নিয়ে আসেন ডেয়ারির এক কর্তা এবং এক কর্মী। শুক্রবারই তিন জনকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের লোকেরা। শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ ইন্দ্রজিৎ এবং অভিমন্যুর দেহ প্রথমে তারকেশ্বর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রামবাসীরা ভিড় করেন।
ইন্দ্রজিতের কাকা চিন্ময়বাবুর দাবি, ‘‘পরিকল্পনা করে ওঁদের খুন করা হয়েছে। তিন জন মোবাইল একসঙ্গে বন্ধ হয় কী করে? ওখানে গিয়ে দেখেছি, ওঁদের ঘরে রক্তের দাগ। রান্না করা খাবার পড়ে রয়েছে। ব্যাগ পড়ে রয়েছে।’’ একই দাবি উদয়ের দাদা দেবব্রতবাবুরও। তিনি বলেন, ‘‘ওঁদের দেহেও আঘাতের চিহ্ন ছিল। ওখানকার লোকজনের থেকেও কোনও সাহায্য পাইনি।’’
এ দিন তারকেশ্বরে উপস্থিত ছিলেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। বিহার পুলিশ প্রথমে কোনও সহযোগিতা করেনি বলে তিনি অভিযোগ তোলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকার ওই পরিবারগুলির পাশে আছে বলে সাংসদ জানান। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পেলে রাজ্যের তরফে পদক্ষেপ করা হবে।
তথ্য সহায়তা: সৌমেন দত্ত
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy