প্রতীকী ছবি।
ঠান্ডা পড়লে রোগের দাপট কমবে বলে আশা করা হচ্ছিল। শীতকাল কবে আসবে, হাপিত্যেশ প্রতীক্ষায় ছিল বাংলা। কলকাতা-সহ সারা রাজ্যেই ঠান্ডা পড়েছে কমবেশি। টানা ১০ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নীচে। এর মধ্যেও ডেঙ্গির কিন্তু বিরাম নেই। রবিবার মহানগরীতে এক জনের মৃত্যুও হয়েছে। নবান্নের নথিপত্রে তবু ডেঙ্গি ব্রাত্যই থেকে গেল। কেননা এত দিনের দাপুটে রোগটি এখনও ‘অজানা’ই থেকে গেল নবান্নের কাছে!
গত শুক্রবারেই ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের জন্য রক্তপরীক্ষা এবং সেই সঙ্গে চিকিৎসা চালানোর জন্য জেলায় জেলায় মোবাইল বা ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা ভ্যান পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ রূপায়ণের কতটা কী হল, তা নিয়ে নবান্ন এখনও নীরব। শুক্রবার ডেঙ্গি-কবলিত দেগঙ্গার অদূরে হাড়োয়ায় সভা করতে গিয়েও ওই রোগ নিয়ে ঠিক যে-রকম নীরব ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপিত হলেও উঠল না ডেঙ্গির কথা। জেলায় জেলায় জ্বরের কারণটি ‘অজানা’ই থেকে গেল।
এ দিনের নবান্ন-বৈঠকের শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্য স্তরে মুখ্যসচিবের অধীনে (অজানা জ্বর নিয়ে) একটি কমিটি রয়েছে। জেলা স্তরেও জেলাশাসকদের অধীনে একটি করে কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে।’’ তিনি জানান, জানুয়ারি থেকেই সরকার বিভিন্ন রোগের সন্ধানে এবং অজানা জ্বরের বিষয়ে নজরদারি চালিয়ে থাকে। এ বার জেলাশাসকদের মাথায় রেখে যে-সব কমিটি গড়া হচ্ছে, তাতেও পঞ্চায়েত, স্বাস্থ্য, নগরোন্নয়ন-সহ বিভিন্ন দফতর এবং পুরসভাগুলি থাকবে। ওই সব কমিটিকে অজানা রোগ বা জ্বরের বিষয়টি প্রথম থেকেই খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে বলে জানান মমতা।
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, প্রকৃতি এখন অনেক বদলে গিয়েছে। সময়ের সঙ্গে কোনওটাই বিশেষ মিলছে না। এ বার এত বেশি বর্ষণ হয়েছে যে, তার জেরে রোগব্যাধির প্রাদুর্ভাবও বেশি। সামনে আবার আট দিন গরম থাকবে। তিনি বলেন, ‘‘আগে আমরা ভাবতাম, এই সময়ে ঠিক বর্ষা হবে। সময়ে গরম পড়বে। শীত আসবে সময়েই। কিন্তু এখন তা হচ্ছে না।’’ মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি হেলিকপ্টারে গোসাবা ও হাড়োয়ায় জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার পথে তিনি আকাশ থেকে দেখেছেন, অনেক ধানখেত এখনও ডুবে আছে জলের তলায়। ‘‘অগ্রহায়ণ মাস তো নবান্নের মাস। এটা পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার সময়। অথচ ধানখেতে জল...,’’ চিন্তিত মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই সময়ে বৃষ্টি হলে কৃষকদের খুব ক্ষতি হয়, একই ভাবে রোগ হয় বিভিন্ন ধরনের। ‘‘এটা তো বৃষ্টির সময় নয়। কিন্তু কী করা যাবে! ‘‘মানুষ হিসেবে, সরকারের দায়িত্বে থেকে যতখানি পারি মানুষকে সচেতন করার কাজটা করে যাচ্ছি আমরা,’’ বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy