Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

গোর্খাল্যান্ড এড়িয়ে গেলেন দিলীপ

পাহাড়ের নেতারা অবশ্য বলছেন, বিমল গুরুঙ্গ এ বারের আন্দোলন শুরু করেছিলেন শুধু গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে। এমনকী, নবান্নের বৈঠকের পরে তিনি বিনয় তামাঙ্গকে বহিষ্কার করেন একটিই কারণে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সৌমিত্র কুণ্ডু
কালিম্পং শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:০৮
Share: Save:

নির্বিঘ্নেই পৌঁছেছেন কালিম্পঙে। ডম্বরচকে হরকাবাহাদুরদের কালো পতাকা আর ‘গো ব্যাক’ স্লোগান ছাড়া বিশেষ কিছু দেখতে হয়নি। প্রশ্নটা এল সাংবাদিক বৈঠকে: আপনারা কি গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন করছেন? এর সরাসরি জবাব দিতে পারলেন না রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুধু বললেন, ‘‘দেশে যে সোয়া কোটি গোর্খা আছেন, গোর্খাল্যান্ড হলে কি তাঁরা এখানে এসে থাকবেন? বাস্তবে তা হতে পারে না।’’ সঙ্গে জুড়ে দিলেন, ‘‘আমরা ১ কোটি ২৫ লক্ষ গোর্খার উন্নয়ন চাই।’’

এ দিন শিলিগুড়ি পৌঁছনোর পর থেকে রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন দিলীপ। কালিম্পঙের সাংবাদিক বৈঠকে কিন্তু গোর্খাল্যান্ডকে সমর্থনের প্রশ্নে কিছুটা হলেও ‘ব্যাকফুটে’ যেতে হল তাঁকে। এক বার যুক্তি দিলেন, এটা রাজ্য না চাইলে হবে না। আর এক বার প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দিতে চাইলেন জামাত-রোহিঙ্গার দিকে। কখনও বললেন, ‘‘দাবি একটা নয়, ১৭টা। সব দাবি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ওঁরাও রাজি। যা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হবে, সেটাই মেনে নিতে হবে।’’

পাহাড়ের নেতারা অবশ্য বলছেন, বিমল গুরুঙ্গ এ বারের আন্দোলন শুরু করেছিলেন শুধু গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে। এমনকী, নবান্নের বৈঠকের পরে তিনি বিনয় তামাঙ্গকে বহিষ্কার করেন একটিই কারণে। তা হল, মুখ্যমন্ত্রী গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আলোচনা করতে না চাইলে বিনয়রা ওয়াকআউট করলেন না কেন?

আরও পড়ুন: স্কুলে -লজেন্স, সতর্ক করা হচ্ছে কলকাতাকেও

দিলীপ অবশ্য এ দিন বারবার গুরুঙ্গের প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, নেতা ওই একজনই। বাকিরা পাহাড়ের মানুষকে ধোঁকা দিয়েছেন। দিল্লিতে আলোচনা হলে সেখানে গুরুঙ্গ যাতে যোগ দিতে পারেন, সে জন্য মামলা, লুক আউট নোটিস তুলে নেওয়ার দাবিও করেন তিনি।

পরে মোর্চা নেতা, বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন দিলীপ। দু’পক্ষ যাতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে চলে, তা-ও ঠিক হয়। সমতলের নেতারা বলছেন, দিলীপের পক্ষে গোর্খাল্যান্ডকে সমর্থন করা সম্ভব নয়। আবার পাহাড়ে দাঁড়িয়ে তার বিরোধিতা করাও কঠিন।

পাহাড়ের লোকেরা আবার বলছেন, দিলীপ গোর্খাল্যান্ড না চাইলেও গুরুঙ্গের এখন তাঁর হাত ধরেই চলতে হবে। সেটাই ওঁর কাছ খড়কুটো। জাপ নেতা হরকাবাহাদুর ছেত্রী বলেন, ‘‘দরকারের সময়ে দেখা নেই। এখন স্বার্থের জন্য এসেছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE