প্রতীকী ছবি।
দোলের দিন সকাল থেকেই পথে গোটা উত্তরবঙ্গ। দার্জিলিং পাহাড় থেকে ডুয়ার্স, মালদহ থেকে ইসলামপুর সব জায়গাতেই আবির খেলার দৃশ্য। কোথাও মন্ত্রী আবির মেখে নাচের তালে পা মিলিয়েছেন। কোথাও রং খেলায় মেতেছেন কাউন্সিলররা।
রায়গঞ্জের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফ থেকে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়। শহরের উদয়পুর থেকে কসবা পর্যন্ত শোভাযাত্রা হয় তাতে অংশ নিয়েছেন নানা সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। পরে উদয়পুর, বিধাননগর, রমেন্দ্রপল্লি, মার্চেন্ট ক্লাব মাঠ ও করোনেশন হাইস্কুল মাঠে বসন্ত উৎসব পালন করা হয়। করণদিঘিতেও হয় বসন্ত উৎসব। একাধিক অনুষ্ঠান হয়েছে ইসলামপুরেও। সে সবে যোগ দেন ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল অগ্রবাল।
দোলের দিন ভক্তদের ঢল নেমেছিল কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরেও। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেখানে মজুত ভেষজ আবির শেষ হয়ে যায়। জেলায় এনএন পার্কের একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় ও সভাধিপতি পুষ্পিতা ডাকুয়া। সেখানে শিল্পীদের সঙ্গে নাচের ছন্দে পা মেলান মন্ত্রী। এমজেএন স্টেডিয়ামেও একটি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রবীন্দ্রনাথবাবু। খাগড়াবাড়িতেও বসন্ত উৎসব ঘিরে উদ্দীপনা ছিল।
মালদহের ইংরেজবাজার শহরে সকালে একাধিক সংস্থার উদ্যোগে প্রভাত ফেরির মাধ্যমে বসন্ত উৎসবের সূচনা হয়। তারপরে শুভঙ্কর শিশু উদ্যানে দিনভর চলে সাংস্কৃতিক উৎসব। সেই উৎসবে সামিল হন পুরপ্রধান নীহার রঞ্জন ঘোষ ও একাধিক কাউন্সিলরেরা। একে অপরকে আবির মাখিয়ে দেন তাঁরা। পরে সেখানে যান প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।
শিলিগুড়িতেও উৎসাহীদের ঢল নামে দোলে। দাগাপুরে বসুন্ধরায় দোল উৎসবে যোগ দিতে ভিড় উপচে পড়ে। সংস্থার কর্ণধার সুজিত রাহা জানান, পরিবেশ সচেতনতা ও পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্যেই বসন্ত উৎসবের আয়োজন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থা তাতে সামিল হয়। নাচে, গানে জমে ওঠে বসন্ত উৎসব। সূর্যনগর মাইকেল স্কুলের মাঠেও একটি সংগঠনের তরফে বসন্ত উৎসব পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে ভাওয়াইয়া, বাউল গানের আসরও ছিল বলে উদ্যোক্তাদের তরফে জানান কাউন্সিলর কৃষ্ণ পাল। আয়োজন ছিল রকমারি খাবারেরও। মিলনপল্লির একটি সংগঠনের তরফে এ দিন দোল উৎসব আয়োজিত হয় টাউন প্রাইমারি স্কুলের মাঠে। সেখানে বিশিষ্টজনদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মাল্লাগুড়ি, দক্ষিণ ভারতনগর, শিলিগুড়ির ১২ নম্বর ওয়ার্ডেও হয় নানা অনুষ্ঠান।
এ দিন জলপাইগুড়িতে জেওয়াইএমএম-এর মাঠে একটি সাংস্কৃতিক সংস্থার উদ্যোগে বসন্ত উৎসবের আয়োজন হয়৷ রাজবাড়ি দিঘির পাড়ে দোল উৎসবের আয়োজন করেছিল এসজেডিএ৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী, সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মন। অনুষ্ঠানে ভেষজ আবিরের ব্যবহার নিয়ে প্রচার চলে৷
উৎসবের দিন ছিল নিয়ম না মানার ঘটনাও। দেখা গিয়েছে হেলমেটবিহীন বাইক আরোহীদের দাপাদাপি। কোথাও তাঁদের জরিমানা করা হয়েছে। কখনও ভর্ৎসনা করেই ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, গোটা উত্তরবঙ্গে সারা দিনে ২ হাজারের বেশি বাইকআরোহীকে সতর্ক করা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে শতাধিক আরোহীকে। বালুরঘাটে সকাল থেকেই পুলিশ হেলমেটবিহীন ও মদ্যপ চালকদের রুখতে অভিযানে নামে। সেখানে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিশের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy